প্রকাশিত সময় : মে, ১৮, ২০২০, ০২:৪৪ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 693 জনজাহিদুল ইসলাম বাদশা রামপুরা (প্রতিনিধি) ষাটের দশকের তুখোর ছাত্র নেতা ১৯৬৩-৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল কেদ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ভিপি ও ৬৪-৬৭ সাবেক র্পূব পাকিস্থান ছাত্র ইউনিয়নের ,সভাপতি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান, মেনন এম পি’র আজ ১৮ মে ৭৭ বছরে পদাপর্ন করবেন।
জনাব মেনন ৬২ সালে নিরাপত্তা আইনে প্রথম কারাবন্দি হবার পর ৬৯ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন নিরাপত্তা আইন,দেশরক্ষা আইন ও বিভিন্ন মামলায় কারা বরন করেন। ৬৭-৬৯ সালে জেলে থাকাকালীন অবস্থা জনাব,জনাব মেনন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন এবং আগরতলা ষরযন্ত্র মামলায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে নীত হওয়ার পূর্ব পযর্ন্ত জেলের বাইরে তাঁর যোগযোগের মাধ্যমে হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭০ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি পল্টন ময়দানে জনসভায় স্বধীন জনগণন্ত্রানিতক পূর্ব বাংলা কায়েমের দাবি করায় ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ও তার অনুপস্থিতিতে সামরিক আদালতে জনাব,মেননের ৭ বছর সাশ্রম কারাদন্ড ও সম্পত্তি ষাট ভাগ বাজেয়াপ্তর দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
১৯৭১ সালের ৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে কার্যকর করতে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ার কাজ শুরু করেন। ২৫ শে মার্চ পল্টনের শেষ জনসভায় বাংলাদেশের স্বধীনতা ও পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
২৫ শে মার্চের কালো রাত্রে গণহত্যার পর তিনি ঢাকার অদূরে নরসিংদী শিবপুরকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের কাজ শুরু করেন।
১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারি করলে রাশেদ খান মেনন সামরি শাসনবিরোদী আন্দোলনে অন্যতম ভুমিকা পালন করেন। ১৫ ও ৭ দলের যুগপৎ আন্দোল পরিচালনায় ভূমিকার জন্য সামরিক শসনামলে বিভিন্ন সময় তাকে আত্মগোপনে যেতে হয়েছে।
৫ দল হিসেবে সামরিক শাসনবিরোদী আন্দোলনে ঐক্য পুনঃস্থাপনে রাশেদ খান মেনন গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখেন এবং ৫ দল, ৭ দল ৮ দলের ঐতিহাসিক ৩ জোটের ঘোষনার ভিত্তিতে ৯০ এর গনঅভ্যুথানে স্বৈরাশাহীর পতন হয। এতে ও জনাব রাশেদ খান মেনন অন্যতম ভূমিকা রাখেন।
১৯৯২ সালের ১৭ আগষ্ট নিজ পার্টি কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ করে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে ঢাকার সম্মিলিত সমরিক হাসপাতাল ও পরে লন্ডনে কিংস কলেজে দ’বার অস্রোপচার হলে তিনি মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে আসেন।
জনাব রাশেদ খান মেনন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে অন্তভুর্ক্ত করার জাতীয় সংগ্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ২০০১ সালে বি এন পি, জামায়তা ৪ দলীয় জোট সরকার গঠন করে দেশব্যাপী সম্প্রদয়িক তাণ্ডব শুরু করলে জনাব রাশেদ খান মেনন তার বিরুদ্ধে অন্যান্যাদের নিয়ে প্রতিরোধ সংগঠিত করেন। বিএনপি জামাত জোটের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সম্প্রদায়িক নিতীর বিরুদ্ধে এগারো দল ও পরে আওয়ামীলীগ লীগ, জাসদ,ন্যাপ,সহ ১৪ দলের আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৪ দলের ৩১ দফা নির্বাচনী সংস্কার ও ২৩ দফার নুন্যতম কর্মসূচি প্রণয়নে তিনি মূখ্য ভূমিকা রাখেন।
Facebook Comments