প্রকাশিত সময় : মে, ২৯, ২০২০, ০৮:৩০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 656 জনআমাদের গ্রামে ভূতের আড্ডা ছিল,আমার বয়স তখন ৮ কি ১০ হবে বাবার মুখে শুনতাম পশ্চিম পাড়া বুড়ির বাড়ী ভিটায় ভুতের বসবাস ছিল। দিনের বেলায় নাকি মানুষের রূপ ধারন করে বসে থাকে, বাবার মুখে যখন ভূতের কথা শুনতাম আমি তখন খুব ভয় পেয়ে যেতাম। একদিন বাবাকে বললাম আমি ভূত দেখবো বয়না ধরলাম বাবা বললো ঠিক আছে রাতে দেখাব,কয়েক দিন পর রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ভাঙ্গা বেড়ার ফাক দিয়ে বাঁশ ঝারের দিকে তাকিয়ে বাবা ফিস ফিস করে আমার মায়ের কাছে বলতে লাগলো তোমাকে একটা কিছু দেখাবো ভয় পেয়ো না। আমি তখন মায়ের কাছেই ঘুমাই,চারিদিকে সবাই যখন ঘুমিয়ে আছে, তখন বাবার কথার আওয়াজ শুনে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায়। মাকে বলতেছে বাশঁঝারের দিকে তাকিয়ে দেখো বাঁশর উপরে বাতি জ্বালিয়ে বসে আছে,তখন আমিও তাকিয়ে দেখি ঠিক তাই। কয়েক দিন পর আমাদের গ্রামের একটি ছেলে তার নাম জুবোল পাগলা আধা পাগলা টাইপের ক্ষেতখামারে কৃষিকাজ করে একদিন দুপরবেলা আমাদের বাড়ীর পাশে রাস্তা দিয়ে মুড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় ভূত তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল মালোয়পাড়া কবরস্থাানের দিকে চিৎকার চেচাঁমেচি শুর করে দিয়েছে। সেরাজ ভাই রহমান ভাই আমাক কেডো জানি টাইনা নিয়া যাইতাছে পরে ডাক শুনে সাবাই এগিয়ে আসলে কাঁদতে শুরু করে আর বলে আমি এম্মিক যামু তা যাইবার পারিনা আমাক মালোয়পাড়ার দিকে টাইনা নিয়ে যায়। সবাই তখন বললো তুই বাইচা গেছোস তোর হাতে গরম মুড়ি এজন্যে ভূত তরে টাইনা নিয়া যাইতাছিল।পরদিন সেরাজ ভাইয়ের মুখে গল্প শুনলাম সে কি ভয়ংকর। একদিন রাতে গরু রাখতে যাইবো গজাইরাচরায় মানিক চাঁন ভাইকে কইছে শেষরাতে আশিস যে কথা সেই রাতে গরু নিয়া আইছে,ডাকতাছে ওয় সেরাজ যাবিনা রাততো শেষ তারাতরি চল ,সেরাজ ভাই তরিঘরি গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়াবের হয়ে দেখে মানিকচাঁন বটতালা ছেড়ে গেছে।যতই জোরে যায় ধরতে পারেনা ,হঠাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে পা নেই তখনই পিছিয়ে পরে। সেতো মানুষ নয় এটাতো ভূত মানিকচাঁনের কণ্ঠে বলে ফিরে গেলিক্যা তোর মায়ে নায়ের পাতা বিলাইছে। বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পর্ণ কাল্পনিক
লেখক পরিচিতি
মোঃ আল আমিন সরকার
Facebook Comments