প্রকাশিত সময় : মে, ২৭, ২০২০, ০৬:৫৯ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 1822 জনবিশেষ প্রতিনিধি (সাভার) থেকে: করোনা প্রাদূর্ভাব শুরুর পর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে আবার লকডাউনের মধ্যে পোশাক শ্রমিকরা মালিকপক্ষের ডাকে হেটে হেটেই ঢাকা আসতে থাকে। এই স্বমন্বয়হীনতার মাঝে সরকারের সাধারণ ছুটির সাথে পোশাক কারখানা গুলোকেও ছুটি বহাল রাখতে আহবান জানায় মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এরপর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষণা আসে স্বাস্থ্যবিধী মেনে কারখানা চালানো যাবো। পোশাক কারখানা মালিকপক্ষ এই ঘোষনার পরে গাঁ ঝেড়ে বসে, শ্রমিক মোবাইলে কল করে শ্রমিকদের কারখানায় আসতে বলা হয়, শ্রমিকরা দূরদূরান্ত হতে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় আসতে থাকে। এই দেখে আবার সরকার- বিজিএমইএ হতে নির্দেশনা আসে যে, যেসকল শ্রমিক বাড়িতে আছে তাদের ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই। মোবাইলে শ্রমিকদের বেতন পাঠানো হবে। এই ঘোষনার পরে শ্রমিকরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছিলো। কিন্তু ঘটনা ঘটলো ভিন্নরকম। যে সকল শ্রমিক ঢাকায় ছিলো এবং গোপনে গোপনে ঢাকায় আসলো তাদেরকে নিয়েই কারখানা চলতে থাকলো। মে মাসের ৪ তারিখ দেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হলো। ওদিকে করোনাও তার গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়ে চলছে আপন গতিতে। মে মাসের ২০ তারিখের মধ্যে অনেক কারখানা শ্রমিকদের এপ্রিলের ৬০% বেতন পরিশোধ করলো আবার কিছু কারখানা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি। এরপর ঈদ বোনাস কর্তনের অনুমতি পেয়ে ওনারা শ্রমিকদের ৩০-৫০% বোনাস দিয়ে ছুটি দিয়ে দিলেন। ৩-৪দিন ঈদ ছুটির পরে আজ ২৭ মে কারখানাগুলো আবার চালু হলো। কারখানা খোলার এ দিনেই মানিকগঞ্জের এ্যাসপায়ার গার্মেন্টসে শ্রমিক দম্পতি আয়রনম্যান ওবায়দুর ও তার স্ত্রী অপারেটর সেলিনা কে চাকরিচ্যুত করা হলো। তাদের অপরাধ তারা ঐ ঘোষণা গুলো শুনে বাড়ি থেকে আর ঢাকায় আসেনি সে সময়। আজ এসেই চাকরি নাই। এখন এই শ্রমিক দম্পতি বাসা ভাড়া দিবে কি করে আর খাবার কিনবেন কি করে। এই মুহূর্তে চাকরি পাওয়াটাও তো তাদের সহজ হবেনা। চাকরিচ্যুত শ্রমিক দম্পতির গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে।
Facebook Comments