প্রকাশিত সময় : জুন, ৯, ২০২০, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 719 জননিজস্ব প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া দমদমা হাটে মাজেদচঁন্দ্র ধরের সাথে আলাপ চারিতায় জানাযায়, বিশ্বে করোনার ভয়াবহ থাবায় যখন হাজারো লাশের মিছিল, বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে স্বজনদের করুণ আহাজারী। মানুষ পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার যুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রকৃতির সাথে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও হাট বাজারের দোকানপাটসহ যান চলাচল সবই এখন অচল অবস্থা। করোনা প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় মানুষ এখন গৃহে অবস্থান করছে। অথচ এমনই ক্লান্তিলগ্নে নিরুপায় ও অসহায় হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য ফুটপাতে বসে ব্যস্ত সময় পার করছে নরসুন্দর সম্প্রদায়।
সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া থানাধীন বন্যাকান্দি গ্রামের মাজেদচঁন্দ্রধর(৫৫)। তার তিন ছেলে এক মেয়ে জানিয়েছেন। জীবন -মৃত্যুকে উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজনের ক্ষুধার জ্বালা নিবারণের আশায় নিজে কাজ করে যৎসামান্য উপার্জন করতে ছুটে আসেন হাট-বাজারে। ক্ষুর আর কেচি কাটাকাটিতে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোনমতে চলে যাচ্ছে মাজেদচঁন্দ্রধরের অভাবের সংসার।
সে প্রতিরবি বারে দমদমা হাটে ও বন্যাকান্দি শনিবার – মঙ্গল বার রাস্তার উপরে ক্রেতার জন্য চৌকি ও নিজের জন্য ছোট পিড়ি বসে , মুখে মাক্স নেই হাতে নাই গ্লাভস ,নেই কোন সামাজিক দূরত্ব এভাবেই কাজ করছেন মজেদচন্দ্রধর। এখানে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধসহ অনেকেই আসছে তার কাছে।
নরসুন্দর মজেদচন্দ্রঁধর বলেন, সরকারের নির্দেশ মত ক’দিন কাজে আসেনি, ওই ক’দিন পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে ছিলাম, উনুনে বসেনি হাড়ি, তাই অগত্যা কাজে এসেছি ক্ষুধার তাড়নায়। এখনো পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থা থেকে খাদ্য ত্রাণসামগ্রী পায়নি বলে জানান তিনি।
Facebook Comments