প্রকাশিত সময় : ডিসেম্বর, ১৯, ২০২১, ০৪:৪০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 1003 জননিজস্ব প্রতিবেদক:তুরাগের ভাটুলিয়ায় মাঝে মাঝে বিক্রয় করা হয় ক্ষতিকর সাকার ফিস। এটি খেতে সুস্বাদু না হওয়ায় সাধারণত কেউ খায় না এবং বাজারেও এর চাহিদা নেই। তবে অনেকেই না জেনে কিনে নিয়ে যায় এই মাছ। সাকার ফিশ’ মাছটি অ্যাকুয়ারিয়ামের শোভাবর্ধক। বিদেশি প্রজাতির ক্ষতিকর এই মাছটি বর্তমানে উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। ধীরে ধীরে সব মাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলছে।
ভয়ংকর মাছটি নিয়ে মৎস্য চাষীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। এটির ব্যাপক বিস্তার ঘটলে দেশীয় প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়বে। ফলে দ্রুত এই মাছ নিধন করা জরুরি বলে মনে করছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা।
এর আসল নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিস। তবে সাকার ফিশ নামেই অধিক পরিচিত। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। এর শরীর অনেক খসখসে ও ধারালো। পাখনাগুলোও অনেক ধারালো। ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হওয়া এই মাছটির রং কালো শরীরে ছোপ ছাপ দাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) সূত্রে জানা যায়, দেশের শতকরা ২২ ভাগ মাছ উৎপাদন হয় ময়মনসিংহ জেলায়। আগে সবসময় নদী থেকে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ পাওয়া গেলেও এবার অপরিচিত ‘সাকার ফিশ’ ধরা পড়ছে অনেকের জালে।
এছাড়া উন্মুক্ত জলাশয়ে বাড়ছে এই মাছ। মিঠাপানির এই মাছটির আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। বিশেষত ব্রাজিলে অ্যামাজন অববাহিকায় এই মাছ প্রচুর পাওয়া যায়।
সম্প্রতি টঙ্গী তুরাগ নদী সহ ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, যশোর, সিলেট খুলনাসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জলাশয়গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। দক্ষিন অঞ্চলে বিভিন্ন পুকুরেও দেখা গেছে এই সাকার ফিশ।আশ পাশের জলাশয়ে অনেক বেশি দেখা মিলছে। অনেকেই নদী বা জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়ে দেখা পাচ্ছে ভয়ংকর এই সাকার ফিশের।
Facebook Comments