প্রকাশিত সময় : মে, ১১, ২০২০, ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 636 জনকরোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গ্রামের প্রান্তিক চাষিরা সবজি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রচুর সবজি আবাদ হলেও কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না তারা। করোনার প্রভাবে এক প্রকার পানির দরেই পাইকারদের কাছে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। চাষিদের উৎপাদন খরচ তোলাই যেন দায় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় চাষিদের লোকসান কিছুটা হলেও লাঘব করতে এগিয়ে এসেছে জায়েন্ট এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড। মাঠে মাঠে গিয়ে চাষিদের কাছ থেকে সবজি কিনছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও পাইকারি বাজারে সর্বোচ্চ ৫-৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি করলা অথচ সেই একই করলা জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা দরে। এখন বাজারে প্রচুর নতুন করলা উঠেছে। ফলে হাত বদল হতে হতে পাইকার ও মধ্যসত্বভোগীরা লাভবান হলেও প্রান্তিক চাষিরা দেখছেন না লাভের মুখ। করেনার প্রভাবের আগে চাষিরা করলা দাম পেয়েছেন কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকা। এখন বাজারদর অনেকটা মন্দা।
এদিকে পাইকারি এসব বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮-১০ টাকা দরে। করোনা প্রভাবের আগে শসার পাইকারি দর ছিল প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা। বর্তমানে শহরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি শসা ১৫-১৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মরিচের দাম আগের তুলনায় একেবারে কমে গেছে। খুচরা বাজারে -২৫ -৩০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের পাইকারি বাজার দর আরও কম।
এদিকে চাষিদের লোকসান কিছুটা লাঘব করতে এগিয়ে এসেছে জায়েন্ট এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড । জায়েন্ট এগ্রো এলাকার প্রান্তিক সবজি চাষিদের জমিতে থাকা সবজি বাজার মূল্যে কিনে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে তা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ মে) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে বাজারে চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে যেতে পারছেন না। তাছাড়া বাজারে ক্রেতা কম থাকায় সবজির উপযুক্ত দামও পাচ্ছেন না। মাঠেই সবজি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় জেলার প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে নায্য মূল্যে শাক-সবজি ক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
Facebook Comments