প্রকাশিত সময় : মে, ৪, ২০২০, ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 208 জনইসলাম ডেস্ক- রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। মহান আল্লাহ এ মাসে আমাদের ওপর রোজা ফরজ করেছেন। মুসলিম উম্মাহ ক্ষমা ও নাজাতের মাস রমজান অতিবাহিত করছে। এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত।
এ মাসের ইবাদাত বন্দেগির সাওয়াব ও ফজিলত অন্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি। রমজানের রোজা পালনকারীর মর্যাদা আলাদা করতেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতের রাইয়্যান নামক আলাদা দরজার ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত সাহল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের মধ্যে রাইয়্যান নামক একটি দরজা রয়েছে। কেয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে শুধুমাত্র রোজাদাররাই প্রবেশ করবে। তাদের ব্যতিত এ দরজা দিয়ে অন্য কাউকে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। ঘোষণা দেয়া হবে- রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা (সব রোজাদার) দাঁড়াবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। রোজাদাদের প্রবেশের পরপরই (রাইয়্যান নামক) দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করনে না পারে।’ (বুখারি)
এ বিশেষ মর্যাদা লাভে রোজাদারকে রমজানের যথাযথ হক আদায় করতে হবে। প্রথম দশকে রোজার হকগুলো আদায় করতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকও ব্যর্থতায় পরিণত হবে। তাই প্রথম দশক থেকেই রমজানের যথাযথ হক আদায় করে আল্লাহর ভয় অর্জন করা জরুরি। তবেই রোজাদার পাবে হাদিসে ঘোষিত সব মর্যাদা ও ফজিলত।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত রমজানের রোজা পালন এবং তার হক আদায় করা। সে আলোকে রোজাদারের জন্য বিশেষ কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো-
– দিনের বেলায় পানাহার ও স্ত্রী-সম্ভোগ ত্যাগের নামই রোজা নয়, বরং প্রতিদিন অন্যায় কাজ, মিথ্যা, গিবত, হারাম উপার্জনসহ আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা। রোজা রেখে এ কাজগুলো করলে সারাদিন উপবাস করার কোনো ফায়েদা নেই। সুতরাং রোজা পালন করে সব অন্যায় থেকে বিরত থাকাজরুরি।
– রমজান মাসের আমল-ইবাদাতে কুরআনের বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা এ মাসেই নাজিল হয়ে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। ঈমানের দাবি হচ্ছে- ‘বান্দার
প্রতিটি আমল হবে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক।
মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম সব রোজাদারকে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Facebook Comments