প্রকাশিত সময় : মার্চ, ২২, ২০২০, ০১:২৫ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 764 জননিজস্ব প্রতিবেদক : গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক সংখ্যা ও তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এবং তাদের পার্শবর্তী নিয়ে চার কোটি মানুষের মত হতে পারে, শ্রমিক সংখ্যা পয়তাল্লীশ লক্ষ তাদের কারখানা বন্ধ রাখা না রাখা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার বলে আমি মনে করি, কারনটা হচ্ছে আমরা যত যাই কিছু বলি একমাত্র সরকারই বলতে পারবে এর সঠিক কি করতে হবে, এই কথটা বলার উদ্যেশ্যে হলো আমরা এখন পর্যন্ত আক্রান্ত সংখ্যা ২৪ জন এবং মারা গেছেন দুজন বলেই জানি এবং সরকারের ব্যাবস্থাপনাও কেমন এটা নিয়ে তাদের ভুমিকা কেমন ও পৃথিবী ব্যাপী এর ভয়াবহতা কি কতটুকু , পৃথিবী ব্যাপীর যে ভয়াবহতা তাতে আমাদের এখানে যদি সত্যিই এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ২৪ জন হয়ে থাকে যদি কোনো তথ্য গোপন না করা হয় তাহলে কারখানা বন্ধ করার দরকার নেই বলে আমি মনে করি, এই জন্যই বললাম আমরা যে যাই বলি সরকারই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন, কারখানা বন্ধ করতে যারা বলে যাচ্ছেন তারা কিন্তু একবারও বলেননি কারখানা বন্ধ হওয়ার পরে শ্রমিকদের করনীয় কি বা এই শ্রমিকগণ কোথায় অবস্থান করবেন, আমি তো মনে করি শ্রমিকদের জন্য কারখানাই এখন পর্যন্ত নিরাপদ, নিরাপদ এই জন্য বললাম যে এই ভাইরাসটি সংস্পর্শে ছড়ায় আর এই শ্রমিক ভাই ও বোনরা যদি কারখানায় নিয়মিত যাওয়া আসা করে ওখানে কাজ থাকলে কাজ করে এবং কারখানা ঢুকার সময় হাত ধুয়ে ঢুকে এবং পরবর্তীতে বাসায় গিয়েই আবার হাত ধৌত করে তাহলে তার কিন্তু সংস্পর্শের সম্ভাবনা নাই, যদি কারখানা বন্ধ করতে হয় তাহলে অবশ্যই পুরো এলাকায় হুম কোয়ান্টাইন করতে হবে আপনি কারখানা বন্ধ করতে বললেন পরে এই শ্রমিক ছুটি পেয়ে কোথায় কোথায় ঘুরবে কার সাথে মিসবে বাজার মার্কেট পার্ক এক বাড়ি হতে আর এক বাড়ি যাবেন গাড়িতে চড়ে বন্ধুর বাসায় ঘুরতে যাবেন তাহলে কিন্তু কারখানা বন্ধ দিয়া কোনা লাভ নাই বরং সকলের জন্য ভয়াবহতা ডেকে আনা হলো কারন আগে ছিলো পয়তাল্লীশ লক্ষ শ্রমিক একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কারখানায় বন্দী, আর এখন তাদের ছেড়ে দেওয়া হলে জনগণের সাথে মিসে যাবে আর এই কারনেই হবে ভয়াবহতা বেশি, তবে আজকে অনেক কারখানায় দেখলাম তারা শ্রমিকদের হাত ধুয়ে কারখানায় প্রবেশ করাচ্ছে এবং তাদের তাপমাত্রা মাপছে যদিও গার্মেন্টস কারখানা গুলো আগে থেকেই মাক্স দেয় এখন আরো বেশি বেশি মাক্স দিচ্ছে, আমাদের আশুলিয়ার প্রায় সকল কারখানায় শ্রমিকদের হাত ধোয়া শ্রমিকদের তাপমাত্রা পরিক্ষা করা এবং শ্রমিকদের মাক্স পরতে বাধ্য করছে এতেই মনে হলো ওরা তাদের কর্মসংস্থানের মধ্যে থাকলেই নিরাপদ, আর যদি ছুটি দিতেই হয় তাহলে অবশ্যই কোয়ান্টাইন করতে হবে আগে, যাতে তারা ঘর থেকে বের না হতে পারে কোনো জরুরী প্রয়োজন ছাড়া, সর্বশেষ একটা কথাই বলবো সরকারই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন ও দিবেন কারন এর বাস্তবতা এর ভয়াবহতা দুটোই সরকার যানে ও বুঝে, আর শ্রমিক ভাইদের বলবো নির্দিষ্ট জায়গার ভিতরেই থাকুন অন্যদেরও তাই বলুন এখন এই মুহুর্ত থেকে অপরিচিত লোকদের সাথে চলাচল একেবারে বন্ধ করুন গনমাধ্যমে যে সমস্ত সচেতনর খবর আসবে তা দেখুন এবং অন্যজনকে তা জানিয়ে দিন যেকোনো সময়ে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে গনমাধ্যমে সেটা মেনে চলুন, আল কামরান
Facebook Comments