প্রকাশিত সময় : নভেম্বর, ২৬, ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 87 জনগোলাম রসুল বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট-২ (সদর–কচুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ এইচ সেলিম বলেছেন, ‘কারা কী করছেন, সবকিছু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, বুঝেশুনে কাজে করবেন। আমি সংসদ সদস্য হলে বাগেরহাটে চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজদের স্থান হবে না।’
সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়ায় অবস্থিত বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম এ এইচ সেলিম এ কথা বলেন। বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজ তাঁর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ায় সংবর্ধনার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সিলভার লাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ এইচ সেলিম ১৮ বছর পর আজ বাগেরহাটে আসেন। ২০০৭ সালের পর থেকে ‘রাজনৈতিক কারণে’ তিনি বাগেরহাটে আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
আবারও রাজনীতিতে ফেরার আশাবাদ জানিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম এ এইচ সেলিম বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের সময় আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। একটি জনসভায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। মূলত আমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আমি তখন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জানিয়ে শুধু জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। তবে দল থেকে অব্যাহতি নিইনি, এখনো দলের সঙ্গে আছি।’
আবারও সংসদ সদস্য হলে বাগেরহাটবাসীর জন্য মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলেও অনেক খারাপ লোক আছে, যারা লুটপাট করে, অন্যের সম্পত্তি অত্যাচার করে দখল করে, চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে। আমি যদি দলের নেতৃত্বে ফিরি, তাদের বিএনপিতে কোনো স্থান হবে না। বাগেরহাটের উন্নয়নে আমি কাজ করেছি। সে সময়ে শুরু করা অনেক কাজ থমকে গেছে। আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।’
বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, মেহেবুবুল হক, শেখ মাহবুর রহমান প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন গোটাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাসারাত হাওলাদার.
Facebook Comments