প্রকাশিত সময় : মে, ২৩, ২০২০, ০৪:২৫ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 2172 জনসাভার (প্রতিনিধি) বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম কারিগর এদেশের পোশাক শ্রমিকরা। করোনা দূর্যোগে পোশাক শ্রমিকদের জীবন অনিশ্চিত অন্ধকারে। একেরপর এক বেতন বোনাস কর্তন, চাকরিচ্যুত হচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা। একদিকে করোনা আতংক আর অন্যদিকে বেতন বোনাস বঞ্চিত, চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা পোশাক শ্রমিকদের। বাসা ভাড়া দিতে না পারায়, খাদ্য সংকট আর মজুরি বঞ্চিত, চাকরি হারিয়ে গত ১ সপ্তাহে সাভারের তেঁতুলঝোড়া হতেই প্রায় ১০টি শ্রমিক পরিবার একেবারে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। এদের মধ্যে হেমায়েতপুরের ববস এ্যাপারেলস, দীপ্ত এ্যাপারেলসের চাকরি হারানো শ্রমিক রয়েছে। আবার অনেক শ্রমিকরা সেচ্ছায়ও গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে বাড়ি গিয়ে বিকল্প কর্মের সন্ধানে আছেন। গার্মেন্টসের ভিতরে পরাধীন কর্মপরিবেশ, শারীরিক মানসিক হয়রানি, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, বেতন বোনাস ওভারটাইম কর্তন, চাকরিচ্যুত, কম মজুরি, অন্যান্য সেক্টরের সাথে এ সেক্টরের শ্রমিকদের বৈষম্য, অবহেলা প্রভৃতি কারনে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিকল্প কর্মের সন্ধান করছে। এতে করে অদূর ভবিষ্যতে এ সেক্টরে দক্ষ শ্রমিক সংকট দেখা যাওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম সাভার থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ হোসেন বলেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা প্রচন্ড মনোকষ্ট আর অভিমান করেই ঢাকা ছাড়ছে, তবে শ্রমিকদের অভিমান করে গ্রামে ফিরে যাওয়ার একটা প্রভাব পড়বে এ শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়াতে। দক্ষ শ্রমিক সংকটে স্থবির হবে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যবস্থা। তাই আমরা গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম মনে করি, রাষ্ট্র ও মালিকগোষ্ঠির এ বিষয়গুলো স্বদিচ্ছা নিয়েই সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত। শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে, শিল্প বাঁচলে বাঁচবে দেশ। দেশের কথা চিন্তা করেই শ্রমিকদেরও উচিত হবে এই মুহূর্তে ঢাকা না ছাড়া।
Facebook Comments