প্রকাশিত সময় : মে, ১৮, ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 659 জনমোঃ সোহাগ মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওঃ ওয়াইজ উদ্দিনের শেষ ভরসা হাবিব সাহেব উপজলায় পাশ করলে তার আর সমস্যা হবেনা। স্থানীয় এমপির নামে ভবন করায় সে পক্ষেই আছে। পক্ষে রয়েছে কমিটির একাংশ। তাকে আর ঠেকায় কে? তাদেরকে একটু আপ্যায়ন আর সন্মানীদিলেই হলো। যে কারনে ৪৯ জন শিক্ষক অনিয়ম, দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ করেও কোন ফল হয়নি। কারন মাসে মাসে সামান্য ভাগা পাওয়ার আশায় যে কোন মূল্যেই মুহতামিম মাওঃ ওয়াইজ উদ্দিনকে টিকিয়ে রাখবে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে।
জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওঃ ওয়াইজ উদ্দিন সাহেবের বিরুদ্ধে বহু অভিযেগ পাওয়া গেছে। ধর্মীয় লেবাসী ওয়াইজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। শিক্ষরা জানিয়েছে, মাদ্রসার আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে তিনি একটি মহলকে পকেটস্থ করে রেখেছেন। ফলে তার দুর্নীতির তদন্ত পর্যন্ত হয়না। এতো অভিযোগের পরও কমিটি তথাকতিথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে অনেক বিলম্ব করে। এত জনগণ ধরে নিয়েছেন তারা তদন্তে গোলমাল করবে। না হয় কেন তদন্ত এত দেরি করছে। তাকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরখাস্ত করাও হয়নি। রাষ্ট্রিয় কোন সংস্থা এমন অভিযোগ পেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতো, অথচ কমিটি তথাকতিথ তদন্তের নামে কিছুই করেনি।
প্রকাশ, বালিয়া মাদ্রাসার নামে রশিদ বিহীন টাকা আদায় করা হয়। দানের টাকায় বোর্ডিং ঘর মেরামতের জন্য ইট এনেছেন যা মুহতামিম এর নিজ উক্তি অথচ দানের টাকার কোন রশিদ দেওয়া হয় নাই। পক্ষান্তরে মহদিপুর এ, এম, এ রিক্স হতে চার হাজার ইটের (জানুয়ারী ২০২৪ইং ৬৪৪ নং) ভুয়া ভাউচার জমা দিয়ে অফিস হতে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা নেওয়া হয় অথচ মহদিপুর এ.এম.এ বিক্স হতে কোন ইট মাদ্রাসায় আসে নাই। (২) মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীদের কাছ থেকে সি সি ক্যামেরা ও সাউন্ড বক্সের জন্য দুই দফায় হাজার হাজার টাকা কালেকশান করা হয় অথচ টাকার কোন রশিদ কাটা হয় নাই। পক্ষান্তরে সি সি ক্যামেরা ও সাউন্ড বক্স ক্রয়ের ভাউচার অফিসে জমা দিয়ে অফিস থেকে পুনরায় টাকা নেওয়া হয়েছে।
সুত্র জানায়, বালিয়া বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী নূরুল আমিন এর কাছে অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার ভূমি বিক্রির মূল্য গোপন করা হয়। (৪) নৈহাটী নিবাসী ইকরাম তালুকদার সাহেবের নিকট বালিয়া মাদরাসার বিক্রিত ভূমির মূল্য বাবদ ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করিয়াছিলেন। কিন্তু অদ্যবধি তাহার কোন রশিদ দেওয়া হয় নাই। এমন কি মাদ্রাসারা কোন হিসাবেও লিপিবদ্ধ করা হয় নাই। (৫) মহিলা মাদরাসার কাজ শেষে উদ্বৃত্ত ১০৬ ব্যাগ সিমেন্ট ও সুরকী বিক্রয়ের মূল্য ক্রেতাগণ আদায় করার পরেও মাদরাসার কোন হিসাব বা রশিদে না এনে তসরুপ করা হয়। (৬) মহিলা মাদ্রাসার পুরাতন লোহার এঙ্গেল বিক্রি করে মোট ৪০,০০০/- টাকা তা হিসাবে না এনে ভুয়া রশিদের মাধ্যমে তসরুপ করা হয়। ৭। লক্ষ টাকার উপরে বড় দুইটি শেগুণ গাছ কেটে মাত্র তিনটি চেয়ারের কাঠ ব্যতিত বাকী কাঠ তসরুপ করা হয়। ৮। ভালকীর বড় পুকুর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করে হিসাব বিভাগে কোন হিসাব না দিয়ে গোপন করা হয়। ৯। মহিলা মাদ্রাসায় অখিল ব্রাদার্স এর পাওনা টাকা মাদ্রসার আয় ব্যয় এর ক্যাশ খাতা অনুযায়ী ৮,৪১,৮৩০/- টাকা কিন্তু পাওনাদার অখিল ব্রাদার্স এর বাকী খাতার হিসাব অনুযায়ী গত ১৭/০৩/২০২৪ ইং তারিখে ৩৬,৯৪,৬৫৭/- পাওনা রয়েছে বলে তাগাদা আসে। এতে বুঝাগেল পাওনাদারদের টাকা অফিস থেকে নেওয়া হলেও পাওনাদারকে দেওয়া হয় নাই। ১০। মাদ্রাসায় ফুলগাছ লাগানোর জন্য টাকা কালেশান করা হয় অথচ উক্ত টাকার কোন রশিদ দেওয়া হয় নাই। পক্ষান্তরে ফুলগাছ ক্রয়ের নামে হাজার হাজার টাকার ভাউচার দিয়ে অফিস থেকে আবার টাকা নেওয়া হয়। (১১) হজ্ব থেকে ফিরে এসে শিক্ষক পরিষদ মিটিংএ বসে ৭৫,০০০/- টাকা মাদ্রাসার জন্য এনেছেন বললেও তার কোন রশিদ কাটা হয় নাই এবং ক্যাশ খাতায় ও জমা হয় নাই ১২। গোরাবা তহবিলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ০৯/০২/২০২৩ ইং হইতে ৩১/১২/২০২৩ ইং পর্যন্ত বিভিন্ন দাতাগণ হইতে আগত ১০,৩৭,৯৭৩/- টাকা দেখা যায় কিন্তু উক্ত টাকার কোন রশিদ কাটা বা ক্যাশ খাতায় জমা না হলেও ব্যাংক হিসাবে ব্যালেন্স শূন্য দেখা যায়।
Facebook Comments