প্রকাশিত সময় : নভেম্বর, ১২, ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 101 জনবিশেষ প্রতিবেদন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র তৃণমূল নেতৃত্বের অন্যতম আস্থাভাজন। অবিভক্ত টঙ্গীর জনপথে ছিল যার বিচরণ, তৃণমূল বিএনপি’র দুঃসময়ের লড়াই সংগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ দূর্বার কান্ডারী। শৈশব থেকে অদ্যাবধি তিনি বিচক্ষণ, প্রজ্ঞাবান, সর্বদা স্পষ্টবাদী, ন্যায়বিচারক। বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে সমুন্নত রাখতে তৃণমূলে তিনি হলেন নিবেদিত প্রাণ। দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড় করে বিলিয়ে দেওয়া এক জীবন্ত অগ্নিশিখা, শিল্পপতি থেকে বনে যাওয়া সাধারণ মানুষ। এতক্ষণ আলোকপাত করছিলাম গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ৫২ নং ওয়ার্ড মুদাফা গ্রামের কৃতি সন্তান টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপি’র বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ্ মোঃ নাসির উদ্দিন নাসু’র রাজনৈতিক জীবনের বন্দনা বাণী। নাসির উদ্দিন নাসু’র প্রায় ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন জুড়েই রয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ৫০ বছরে দলের প্রয়োজনে লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে শিকার হয়েছেন হামলা,মামলা, নির্যাতন, নিপীড়নের তবুও তিনি দমে যাননি। থেমে ছিল না তার কর্মস্পৃহা। ১৯৯১ সালে টঙ্গী পৌর বৃহত্তর ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠন হলে তিনি ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রায় ২ যুগের অধিক সময় ধরে তিনি বিএনপি’র সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বৃহত্তর টঙ্গী থানা ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম থানা গঠন হলে তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এবং গাজীপুর মহানগর বি এন পির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছেন, ছিলেন ঘর ছাড়া। তার নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠান আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মারা দখল করে প্রায় ৩০ কোটি টাকার গার্মেন্টস ইকুইপমেন্ট বাজেয়াপ্ত করে। একজন শিল্পপতি থেকে তাকে টেনে সাধারণ মানুষের কাতারে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শাহ্ মোঃ নাসির উদ্দিন নাসু তার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যেহেতু তিনি মুদাফার ঐতিহ্যবাহী মাস্টার বাড়ির একজন আদর্শবান শিক্ষক আহাম্মদ আলী মাষ্টারের সন্তান তাই তার জীবনের চলার পথেও আদর্শকে লালন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিএনপি গঠনের পর ১৯৭৫ সালে জাগো পার্টি গঠন করেছিলেন সেই পার্টিতে তার প্রিয় নেতা আব্দুল আউয়াল এর সঙ্গী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। রাজপথের সকল আন্দোলন সংগ্রামে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন বলে জানান। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপত জিয়াউর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্মৃতিচারণ করেন এবং তিনি বলেন নভেম্বর মাস ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির মাস ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর যখন রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভঙ্গুর অবস্থা ছিল, দেশের স্বাধীন সর্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ছিল, জাতি ছিল কিংকর্তব্যবিমূঢ়! তখন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সিপাহী জনতার জাতীয় বিপ্লব ঘটে জাতি পায় এক নতুন বাংলাদেশ যে বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জিয়াউর রহমান বিরল ভূমিকা পালন করেন। নাসির উদ্দিন নাসু আরো বলেন দীর্ঘদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে গাজীপুরের সিংহ পুরুষ বীরমুক্তি যোদ্ধা আলহাজ্ব হাসান উদ্দীন সরকারের সাথে অতন্দ্র প্রহরির মত সকল সংকট মোকাবেলায় সংগঠনের প্রয়োজনে তিনি রাজপথে ছিলেন, বর্তমানে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে সর্বদা রাজপথে থাকবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Facebook Comments