প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ১২, ২০২০, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 670 জনবিশেষ প্রতিনিধিঃ (রতন হোসেন মোতালেব)
সাভার ও আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সড়কে নেমে ও কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে ১১টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
রোববার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে সাভারের হেমায়েতপুর, ওলাইল, ফুলবাড়িয়া, রাজাসন ও আশুলিয়ার কাঠগড়ায়, জামগড়া, কবিরপুর, জিরাবো, নরশিংহপুর এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলোতে এ আন্দোলন শুরু হয়। পরে কিছু কারখানায় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শ্রমিকরা বিক্ষোভ বন্ধ করে দিলেও কিছু কারখানায় বিক্ষোভ অব্যহত এখনো রয়েছে।
সাভারের কারখানাগুলোর মধ্যে হেমায়েতপুরের ‘রাকিব এ্যাপারেলস লিমিটেডে’ আজ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও বেতন না দেওয়ায় কারখানার প্রায় ২০০ শ্রমিক কারখানার সামনে অবস্থান করছে। পরে ২৫ এপ্রিল বেতন পরিশোধের আশ্বাসে শ্রমিকরা চলে যায়।
অন্যদিকে উলাইলের ‘জয়েন্ট টেক্স’ ও ফুল বাড়িয়ার ‘আরএমজি সোয়েটারে’ গত মাসের বেতনে দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। এবং রাজাসনের ‘এপি ফ্যাশন লিমিটেড’ শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৩০০ শ্রমিক বেতনের দাবিতে আন্দোলন করলে মালিক কারখানার মেশিনারিজ বিক্রী করে আগামী ২০ এপ্রিল শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করবে। এমন আশ্বাসে শ্রমিকরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায় তারা৷
এদিকে আশুলিয়ার কারখানা গুলোর মধ্যে বকেয়া বেতনের দাবিতে নরসিংহপুরে ‘ইথিক্যাল গার্মেন্টসে’ হাজার শ্রমিকরা কারখানা সামনে অস্থান নিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আগামী ১৫ এপ্রিল বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। ও কবিরপুরে ‘তোয়া-হা টেক্সটাইল লিমিটেড’ একই দাবিতে আন্দোলন করছে। কাঠগড়ার ‘সুরাইয়া ফ্যাশন লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকরা ফেব্রয়ারী মাসের অর্ধেক এবং মার্চের পুরো বকেয়া বেতনের দাবীতে কারখানায় সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এছাড়া জিরাবোর ‘ফাইভ এফ এপ্যারেলস লিমিটেডে’র ১৮০০ শ্রমিক বেতনের দাবীতে শ্রমিকরা টঙ্গি-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে অবস্থান করছে। ও একই এলাকায় ‘গ্লোরিয়া সান ফ্যাশন লিমিটেডে’র ২৫০ শ্রমিক বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এবং খেজুরবাগান এলাকার ‘ক্রিষ্টাল কম্পোজিট লিমিটেড’ ৭০০ শ্রমিক ও জামগড়া ‘পাইওনিয়ার ক্যাজুয়াল লিমিটেডে’র ৮০০ শ্রমিক বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আল কামরান বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সে প্রণোদনার শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। শ্রমিকদের খবার সংকট ঘড় ভাড়া দিতে হবে। এ মুহুর্তে শ্রমিকদের বেতন খুব প্রয়োজন। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে শ্রমিকরা বেতন পাবে বেতন পাবে। বেতন কখন পাবে সেটা বলা হচ্ছে না। যেহতু সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়েছে আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এখন কিছু কিছু কারখানা এখন করোনার সুযোগ নিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। সরকারে কাছে অনুরোধ করছি শ্রমিকদের জন্য বেকয়া বেতন ভাতা দ্রুত পরিশোধ করা হয়৷
শ্রমিকদের বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চেয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সানা সামিনুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Facebook Comments