শ্রমজীবীদের আত্মনাদ —-বৃষ্টি ভদ্র সিমান্তী
ধরণী তোমারই বুকে শ্রমজীবী আজ কুন্ঠাগত,
তবু ও করে চলেছে আজও এই সমাজের দাসত্ব।
অসহায় কে দিয়েছো চাবুকের আঘাত আর লাঞ্ছনা।
পদপৃষ্ঠে করেছো দমন, নির্দয়তা কে করেছো গ্রাস।
নরখাদকের দল গরীবের সম্মান কে করেছো হরণ।
তোমারই সুখ ঐশ্বর্য আজ তাদেরই ঘর্মাক্ত শরীরে দূর্গন্ধের ফসল।
নরপশুর দল তুমি কি খুজে পাও নাই,
বৃদ্ধ শ্রমিকের মাঝে নিজের বাবার অবস্থান।
তবুও তাদের বক্ষে ছুড়ে দিয়েছো বারংবার চাবুকের আঘাত।
কেড়ে নিয়েছো ক্ষুধার্তের মুখে খাবার,
অট্টালিকা থেকে ছুড়ে দিয়েছো নর্দমায়।
তোমারই বিলাসিতার প্রতিটা স্পর্শে মিশে আছে,
মেহনতি মানুষের বুকফাটা রক্তকণা।
জ্ঞানের শ্বাশত কে করেছো তুচ্ছ,
বিত্ত-বৈভব,ধন -সম্পদ হারিয়েছো করিতে করিতে জুলুম।
দেয়ালের ইটে সুপ্ত হয়ে আছে শ্রমিকদের রক্তবিন্দু।
পথ খোঁজে ওরা ক্লান্ত চাহনিতে,ঝরিয়ে চোখের বৃষ্টি।
ওরা ছুটে যায়, প্রাতের কুয়াশা পিছু হটিয়ে ,
সাঝের নীলিমায় নিজেকে মিশিয়ে।
জগতের মায়া ভরা সাদা রঙের মাঝে সূক্ষ্ম বিন্দু।
তবুও করেছি মোরা তাদের অর্থ আত্মসাৎ,
ক্ষুধার তাড়নায় নিজেকে করেছে সংগ্রামী।
মনে রেখো তাদের ঘর্মাক্ত পেশীই
আজ ঐশ্বর্য্যের প্রতিটা ছোয়া।
Facebook Comments