প্রকাশিত সময় : মে, ২৯, ২০২০, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 863 জনসুদ একটি সামাজিক ব্যাধি-সমাজের ক্যান্সার। যুগযুগ ধরে এই ব্যাধি পরিবার সমাজ কে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। সারাদেশে ছড়িয়ে আছে সুদ কারবারিরা। শ্রমিক থেকে শুরু করে অনেক বিত্তশালী ব্যাক্তিও এই সুদ কারবারিদের নিকট জিম্মি। করোনা দূর্যোগকালে যখন থমকে গেছে সব, থেমে গেছে অর্থনীতির চাকা। তখনও থামেনি সুদখোররা! অসহায় শ্রমিক শ্রেণি যখন কোনো কারনে অর্থনৈতিক বিপদগ্রস্থ হয়ে সুদের উপর ঋন নিতে বাধ্য হয় তখন ঐ সুদখোররা অসহায়েত্বর সুযোগ নিয়ে শ্রমিক শ্রেণির রক্তচোষা শুরু করে। এই সুদের পরিমান সুদখোররা নিজেরাই নির্ধারন করে, কেননা এ বিষয়ে কোন নীতিমালা চোখে পড়েনা। এরা প্রতি হাজার টাকায় ১৫০-২০০টাকা মাসিক সুদ ধার্য করে। একজন খেটে খাওয়া দিনমজুর যদি কোনো সুদ কারবারি হতে ৫০০০ টাকা ঋন নেয়, তবে ঐ দিনমজুর কে ৫০০০ টাকার জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা সুদ দিতে হয়। যদি ঋনকারী কোন কারনে দু মাস সুদ দিতে না পারে তাহলে তার ৫০০০টাকার সুদে আসলে দাড়ায় ৭০০০টাকা। আর যদি সময় মতো আসল ও সুদ পরিশোধ করতে না পারে তাহলে ঐ ব্যক্তির সহায় সম্বল কেড়ে নেয় সুদখোররা। সুদ ইসলাম ধর্ম তথা অন্যান্য ধর্মও সমর্থন করেনা। এই সুদ কারবারিরা সরকার কে কোন কর দেয়না। হাজার টাকা থেকে লাখ টাকার মালিক হয়ে যায় নিরিহ অসহায় মানুষের শ্রম-ঘাম রক্ত চুষে। রাষ্ট্রীয় ভাবে সুদখোরদের তালিকা করে এদের নিয়ন্ত্রণ করা হলে কমে যেত পারিবারিক কোলহ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা। সমাজে বিনা সুদে ঋন কর্যের প্রচলন করতে পারলে পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব বলে প্রতিবেদক মনে করে। সুদ কারবারিরা অধিকাংশরাই কোন কর্ম করেনা। সুদ’ই এদের পেশা। সুদ পেশাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত বা এই কারবারিদের জন্য নীতিমালা প্রনয়ণ করা দরকার। তা না হলে এদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। একটি বাস্তব চিত্র- কোন এক পোশাক শ্রমিক তার বাড়ি করতে গিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়লে সেই শ্রমিক এক সুদখোরের নিকট হতে ২৫হাজার টাকা ঋন নেয়, মাসে সেই ঋনের পরিবর্তে ঐ শ্রমিককে সুদ প্রদানকারীকে দিতে হয় ৫০০০ টাকা। কোনোভাবে দিতে না পারলেই সুদ-আসল বেড়ে হয় দ্বিগুন। পরিশোধে ব্যর্থ হলেই ঋনকারীর ঘরের জিনিস কেঁড়ে নেয় সুদ করবারি। সুদের ব্যবসা বন্ধ হোক, এই কামনা।
লেখক
(পলাশ হোসাইন)
Facebook Comments