ফেঞ্চুগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ডাক বাংলো এলাকার সরকারি ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় কথা-কাটাকাটির জের ধরে পিকআপ চালক এনামুল হক ইমন হামলার শিকার হন।জানা যায়, ঐদিন রাস্তা দিয়ে মালবাহী গাড়ি নিয়ে উপজেলার পালবাড়ি থেকে রাজনপুর সো মিলে যাওয়ার পথে ব্রীজের উপর এই ঘটনা ঘটে।আরও জানা যায়, ঘটনার সময় ব্রীজের পাশ দিয়ে এনামুল হক ইমন গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় অপরদিক থেকে একটি ট্রাক আসে। ট্রাকটি ব্রীজের পাশাপাশি থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকরাম হোসেনের পুত্র জাকেরের মোটরসাইকেল ব্রীজের উপর ছিল। জাকের পিক আপ থামানোর সিগনাল দিলে ইমন গাড়ি না থামিয়ে ব্রীজ পার হোন। তারপর জাকের ইমনকে অশ্লীল গালিগালাজ করলে ইমন তাকে গালিগালাজ না করতে অনুরোধ করলে এক পর্যায়ে জাকের তার চোখের নিচে ঘুষি মারলে তার চোখে মারাত্মক জখম হয়।পরবর্তী সময় ইমনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল,ঘুষি এবং অতর্কিত হামলা করে জসীম, জাকের ও এনায়েত বলে জানা যায় মামলার এজহার সূত্রে।আরও জানা যায়, ঘটনার সময় রড দিয়ে ইমনের উপর আঘাত করতে গেলে তাৎক্ষণিক সরে গেলে তার গাড়িতে আঘাত লেগে গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।উল্লেখ্য – হামলার শিকার এনামুল হক ইমন একজন পিক আপ চালক। তার বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামে। পিতার নাম – ফয়েজ মিয়া।অপরদিকে হামলাকারীরা হলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকরাম হোসেনের পুত্রদ্বয়।এ বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ইমনের পিতা ফয়েজ মিয়া এবং ফেঞ্চুগঞ্জ ট্রাক- পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমদ লালু। সংগঠনের সভাপতি রাসেল আহমদ টিটু জানান, আমাদের ড্রাইবার সদস্যের সাথে মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনের পুত্রদ্বয় যে অমানবিক আচরণ করেছে তা মেনে নেওয়ার মত নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য – হামলার শিকার এনামুল হক ইমন – কে প্রথমে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।