প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৯, ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 13 জনগোলাম রসুল বাগেরহাট প্রতিনিধ
বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৮ বাড়ি ও কয়েকটি মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দফায়-দফায় হামলায় নারীসহ ২০জন আহত হয়েছে। তাদের মথ্যে ৬জনকে বাগেরহাট ও খুলনার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লা মোস্তাফিজ রহমান ও শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় শেখ রুহুল আমীনসহ তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে আশংকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় উভয় গ্রুপের গুরুতর আহতদেনর মধ্যে বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শেখ সায়েল উদ্দিন (৬০), লিটন শেখ (২৫), মামুন মোল্লা (৪২), কেরামত আলী (৩৮), রোজিনা বেগম (৪৫)। আশংকাজনক অবস্থায় মাহমুদ মোল্লাকে (৪৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য শেখ রুহুল আমীন জানান, বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন তালিমের সাথে কথা বলে বাড়ী ফেরার পথে কুলিয়াদাইড় গ্রামের ভিআইপি মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ মোল্লা মোস্তাফিজ রহমান গ্রপের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময়ে তার গ্রপের কয়েকজন আহত হয়।
অপরদিকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে বিএনপির সভাপতি মোল্লা মোস্তাফিজ রহমান গ্রুপের নেতা মাসুম মোল্লা জানান, তাদের গ্র্রুপের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে আসার পথে শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের লোকজন বিকালে তাদের ওপর আবার হামলা চালায়। এতে আমাদের গ্রুপের ৫ জন আহত হয়। এঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় কুলিয়াদাইড় গ্রামে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময়ে শেখ রুহুল আমীনসহ তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফের সংঘর্ষে আশংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Facebook Comments