প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ১৭, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 3 জননিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৯ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকার সময় গাজীপুর মহানগরস্থ টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ভাকরাল গ্রামের মৃত মামুদ আলীর পুত্র মোঃ সেলিম মিয়া ওরফে সেলু তাঁর আপন বড় ভাই মোঃ মোতালেব হোসেন এর পুত্র রাজু আহাম্মেদ তার বাড়ির সামনের জমিনে মুরগির খামারের কাজ করার সময় এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। খানারের কাজ করতে হলে সেলিম ওরফে সেলুকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। ভুক্তভুগি রাজু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেলিম মিয়া ওরফে সেলু রাজুকে মারধর করে খামার ঘরের খুটি ও ঘরের কাঁচ ভাংচুর করে একপর্যায় ভুক্তভোগীর গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে কাজে আসা লোকজনের ডাক চিৎকারে রাজু আহাম্মেদ এর প্রতিবেশী মোঃ আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম ,মোঃ আব্দুল হালিম, ইউনুস পাটোয়ারী, আহমদ আলীসহ ব্যক্তিবর্গ সেলিমের হাত থেকে রাজুকে হেফাজত করে সরিয়ে নেয় এ সময় সেলিম মিয়া ওরফে সেলু সকলের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী কেন তাকে চাঁদা দিলো না তার জন্য গালিগালাজ ও হুমকি ধামকী অব্যাহত রাখলে উপস্থিত সকলে সেলিম মিয়া ওরফে সেলুর কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে সেলু ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ভুক্তভোগী রাজু আহাম্মেদকে টঙ্গী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা শেষে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজু আহাম্মেদ গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেলিম মিয়া ওরফে সেলুর বিরুদ্ধে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ১৩/২০২৫
ভুক্তভোগী রাজু আহাম্মেদ গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি মুরগির খামার তৈরি করতে গিয়ে তার চাচা সেলিম মিয়ার হামলার শিকার হন। তিনি বলেন যেহেতু তার চাচা সেলিম মিয়া অসৎ এবং মাতাল প্রকৃতির লোক তার নেশা করার জন্য এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তাকে মারধর ও মাফলার দিয়ে গলায় পেচিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। রাজু আহাম্মেদ আরো বলেন, তার চাচা সেলিম মিয়া অন্য ব্যক্তির সাথে ১২ শতাংশ জমি সংক্রান্ত মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু নিছুক তাদের নালিশী জমির সাথে ভুক্তভোগীর পিতার মালিকানাধীন জমিকে তার আওতায় এনে দাবি করে অনর্থক নেশার করার জন্য অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে নিয়ে এই ঝামেলা সৃষ্টি করেন। রাজু আহাম্মেদ এমন নির্মম ঘরনার শিকার হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী রাজু আহাম্মেদের দাদি অভিযুক্ত সেলিম মিয়ার মাতা আমিরুন্নেসা গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে তার উপার্জিত অর্থে তিনি যে সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন তারমধ্যে তার ছয় পুত্রকে চার শতাংশ করে সুষম বন্টন করে দেন কিন্তু আমিরুননেছার সেজপুত্র সেলিম মিয়া অতি লোভী সে কারনে তার বড় পুত্র মোতালেব হোসেনকে দেয়া সম্পত্তির উপর জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে বলে তিনি জানান। মূলত এ ঘটনার জেড়েই সেলিম মিয়া নেশাগ্রস্থ হয়ে দলবল নিয়ে আমার নাতির উপর আক্রমন করে চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না পেয়ে আমার বাতির গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে চেয়েছেন।
এ ঘটনার দৃশ্যপটে থাকা সকল সাক্ষীগন সেলিম মিয়া ওরফে সেলুর এ ঘটনায় দোষী বলে জানান এবং তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সেলিম মিয়া ওরফে সেলুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেদের বশবর্তী হয়ে চলমান কাজের পিলারের খুঁটি ওনি ভাঙচুর ও ভাতিজাকে ধাক্কা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন কিন্তু তিনি কোনো প্রকার চাঁদা দাবি করেননি বলে জানান। একপর্যায়ে তিনি জমিজমা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন এই জমি তার। মালিকানা সম্পর্কে বলতে গেলে তিনি সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।
Facebook Comments