প্রকাশিত সময় : ডিসেম্বর, ১৭, ২০২১, ০৫:১০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 394 জনদীর্ঘ তিন বছর পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার খুলতে সমঝোতা স্বাক্ষর করবে দেশটি। এই সমঝোতার মাধ্যমে কোনো প্রকার সিন্ডিকেট ছাড়াই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।
এ উদ্দেশ্যে ১৮ ডিসেম্বর রাতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। পরদিন এই সমঝোতা স্বাক্ষর হওয়ার কথা আছে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বাজার নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীতকে দূর করার চেষ্টা করছি। আমি সফল হবো কী হবো না সেটা নির্ভর করবে সমঝোতা স্বাক্ষরের পর। তবে আমার আগের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটা এখনও আছে। আমি কোনো সিন্ডিকেটের পক্ষপাতী না।’
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বাজার চালু হলে বিএমইটির ডাটাব্যাংক থেকে কর্মী পাঠানো হবে ।’
তিনি বলেন, ‘শুধু মালয়েশিয়া না, অদূর ভবিষ্যতে সব কর্মী ডাটাব্যাংক থেকে যাবে। মালয়েশিয়া দিয়ে সেটা শুরু হবে বলে আশা করছি।’
দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ থেকে সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উত্পাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া সরকারের পছন্দ করা বাংলাদেশের ১০টি মাত্র রিক্রুটিং এজেন্সি এই কর্মীদের পাঠায়। এই এজেন্সিগুলো সিন্ডিকেট নামে পরিচিতি পেয়েছিল। জিটুজি প্লাস ৩৭ হাজার টাকা অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও কর্মীপ্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে।
Facebook Comments