প্রকাশিত সময় : মার্চ, ২১, ২০২০, ০৫:৫২ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 538 জনঅনলাইন ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনার আতঙ্কে কুড়িগ্রামের সবখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বাজারগুলোতেও যেন সুনশান পরিবেশ।
খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছে না কেউই। সবার মধ্যেই একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করছে। যাদের একটু ধন সম্পদ আছে তারা সবকিছু ঘরে মজুদ করে এখন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
মাঠে ঘাটে কোথাও কোন কাজ নেই। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। মানে যারা দিন এনে দিন খায়। কারন এখন মাঠে ঘাটে কোথাও কোন কাজ নেই।
কুড়িগ্রামের ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দরিদ্র রিকসাচালক কদম আলী বলেন, গত ৪/৫ দিন থেকে তিনি কোন প্রকার ভাড়াই পাচ্ছেন না। রিকসা নিয়ে সারাদিন রিকসা ষ্টান্ডে বসে থাকলেও কোন মানুষ মিলছে না বলে তার অভিযোগ।
অন্য এক অটো চালক বলাই চন্দ্র মহন্ত বলেন, সারাদিন অটোষ্টান্ডে বসে থাকলেও কোন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
ভিতরবন্দ বাজারের সেবা ঔষধালয়ের মালিক ফিরোজ আহমেদ বলেন, করোনা আতঙ্কে বাজারে কোন লোকজন নেই। সারাদিন দোকান খুলে বসে থাকলেও কোন প্রকার বেচাকেনা হচ্ছে না।
ভিতরবন্দ বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, এখন নামাজে তত লোক সমাগম হচ্ছে না। হাট বাজার গুলেও একেবারেই লোকশুন্য।
দিগদারী গ্রামের দিনমজুর নারী শ্রমিক মেহেরবান বেগম বলেন, হঠাৎ করেই চাল,ডাল আলুসহ সকল পন্যের দাম দোকানিরা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনিতেই আমাদের কাজ বন্ধ তার উপরে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এমন ভাবে চলতে থাকলে আমরা কোথায় যাবো?
একই এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর জলিল,ভাষা, রোকেয়া,জবেদা,মমিনা,ফিরোজা ও সাইফুলসহ বেশ কয়েকজন আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই! এখন করোনার কারণে গত ৫/৬ দিন থেকে আমরা কোথাও কোন কাজ পাচ্ছি না আমাদের ঘরেও কোন খাবার মজুদ নেই এখন আমরা কিভাবে বাঁচবো?
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল আলম শফি বলেন, করোনা আতঙ্কে কুড়িগ্রামের শহর থেকে শুরু করে গ্রামের হাট বাজার গুলোতে এখন তেমন লোকসমাগম দেখা যাচ্ছে না। কি এক অজানা আতঙ্কে সবখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আর এই অবস্থায় সবচেয়ে বিপদে নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন।
তিনি কুড়িগ্রামের গ্রামাঞ্চলের দিনমজুর মানুষদের সহযোগিতা করার জন্য সরকার ও সমাজের হৃদয়বান বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।
Facebook Comments