প্রতিবেদক মোঃ আল আমিন সরকারঃ- রাজধানীর তুরাগে নয়ানগর এলাকায় আর,জি,টিএমস লিঃ এক্সেসরিজে পেষ্টিং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন মোঃ শাপু মিয়া করোনায় চাকরি হারিয়ে,জীবন রক্ষার তাগিদে ভিন্ন পেশায় কর্মহীন হয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি কোরছেন। তিনি জানান ঝালমুড়ি বিক্রি কোরে ঘর ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন,পরিস্থিতি সাভাবিক হলে তোমাকে ফোন দিয়ে ডেকে আনা হবে, কিন্তু পরিস্থি সাভাবিক হলেও কর্তৃপক্ষ আর ফোনদেয়নি। মালিক তার পরিবর্তে অন্য লোক নিয়োগ দিয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান যে আমি তাহলে সারে চার বছর কাজ কোরে শূন্য হাতে ঘরে ফিরে আসলাম কোম্পানি আমাকে কিছুই দিলোনা।
তিনি আরো বলেন আমার স্ত্রী গর্বতী এখন র্নিউপায় হয়ে ,জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে নেমেছেন । তার গ্রামের বাড়ী জামালপুরের বকশিগঞ্জ থানা জানকিপুর ভাটিপুর গ্রামে,তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার মতো ভাল অবস্থা নেই।
শাপুর মতো বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশাপাশি কাজ হারিয়েছেন গার্মেন্টসকর্মীরা। কাজ হারিয়ে ঢাকা- ছেড়েছে অনেক গার্মেন্টসকর্মী গ্রামে গিয়ে কেউ মুদি দোকান, আবার কেউ মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন। এতে যা উপার্জন হচ্ছে, তা জীবিকার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এমনকি দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে থাকায় সরকারি ত্রাণ সহায়তাও পাচ্ছেন না তারা।এই পরিস্থিতিতে তীব্র সংগ্রামে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের।
Facebook Comments