প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ৫, ২০২০, ০৪:০৮ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 709 জনপলাশ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:বন্যায় ভেসে গেছে লাখো বন্যার্তদের ঈদ আনন্দ। বানের পানি যেন তাদের ঈদ আনন্দ সব ধুয়ে মুছে নিয়ে চলে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় তারা ঈদ করছে খোলা আকাশের নিচে। কোনো নতুন জামা তো দুরের কথা তাদের অধিকাংশ বাড়িতেই আজও চুলা জ্বলেনি। সরকারী বেসরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে আছে এসব অসহায় মানুষ। যখন পেট চালানোই সমস্যা তখন ঈদের মত বিশেষ দিনটিও খুশি বয়ে আনতে পারেনি তাদের মনে।
করোনা মহামারিতে উৎসবের রং ফিকে হয়েছে অনেকটাই। তার উপর আবার বন্যা যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
জামালপুর,সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল,কুড়িগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার দুর্গতদের ঠাই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে বাধের উপর। তেমনই কিছু চিত্র,
বানের পানিতে ভেসে গেছে জামালপুরের ৭০ বছর বয়সী রহিমুদ্দিনের বাড়িঘর। বাধ্য হয়ে গত ১ মাস ধরে তার স্ত্রী ও পাঁচসন্তান সহ আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর। গায়ে ওঠেনি নতুন জামাকাপড়, পেটে পরেনি ভালোমন্দ এভাবেই কেটেছে ঈদ। জামালপুরের বন্যাদুর্গত এলাকার বহু মানুষের অবস্থা এই একই।
ঈদের আনন্দ মলিন কুড়িগ্রাম বানভাসিদের মাঝেও। করোনায় কাজ হারানো মানুষ এখন বন্যার সাথে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত। দেড় মাস ধরে পানির সাথে যুদ্ধ করে বাড়ি ছারতে হয়েছে কয়েকবার। এখন বাড়ি ছেরে আশ্রয় নিতে হয়েছে উচু রাস্তায় নয়ত আশ্রয় কেন্দ্রে। এভাবেই কাটছে তাদের ঈদ অসহায় ভাবে।
সিরাজগঞ্জের এক নারী জানান, এই করোনা আবার বন্যা। ছেলেমেয়েদের কিছু রান্না করে খাওয়াইতে পারি নাই। আমাদের কোনো ঈদ নাই আমরা অনেক অসহায়। বাচ্চাদের কোনো কাপড় কিনে দিতে পারিনাই।
এভাবেই করোনা ও বন্যার প্রভাবে কর্মহীন ও বাড়িছাড়া হাজার মানুষের চাপা কান্নায় মলিন হয়ে গেছে ঈদ আনন্দ। তারা অসহায়। তাদের সসহযোগিতা দরকার। সরকারী ও বেসরকারি মহলের কাছে তারা সাহায্য প্রার্থনা করেছে।
Facebook Comments