পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শান্ত মা বাবার সঙ্গে তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকায় থাকত। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সে চন্ডালিভোগের এ-ব্লকের ২৮ নম্বর প্লটের সাততলা বাড়ির তৃতীয় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। এ সময় তার ঘুড়ি ভবনের সামনের বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে আটকে যাওয়া ঘুড়িটি লোহার পাইপ বেয়ে নামিয়ে আনতে যায়। একপর্যায়ে অসাবধানতায় সে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে মা আনোয়ারা বেগম এগিয়ে যান। সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দীর্ঘ সময় শান্তর নিথর দেহ পাইপের সঙ্গে ঝুলে থাকে। আর তার মা নিচে পড়ে যান।
তুরাগ থানার ওসি নুরুল মোত্তাকীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মৃতদেহ নামিয়ে আনে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। শিশুটির মা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনিও শঙ্কামুক্ত নন।
Facebook Comments