প্রকাশিত সময় : মে, ১৭, ২০২০, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 606 জনবিশেষ প্রতিনিধি (ক্রাইম) রাজধানীর তুরাগে নয়ানীচালা এলাকায় মীম আক্তার (১২) নামে এক কিশোরী ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে। শনিবার ১৬ই মে) বিকালে আনুমানিক ৫টার সময় ঘটনা টি ঘটে। ঘটনার একপর্যায়ে চিৎকার চেচামেচি শুনে ও-ই বাড়িটির ভাড়াটিয়া সহ এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় থানা-পুলিশ কে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষীতা মীম আক্তার (১২) সহ ধর্ষণে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়, ধর্ষণকারী তাওহীদুল ইসলাম (২৭) মৃত মোঃ মনিরুজ্জামান এর ছেলে, তুরাগের স্থানীয় বাসিন্দা বলেও জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় একটি সুত্রে জানা জায় তাওহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু টাকার কাছে চুপ সমাজ ও প্রশাসন।বিভিন্ন সময় এধরণের অভিযোগ এলেও সমাজের কিছু মানুষ বিচারের নামে ধর্ষককে বাচিয়ে দিতেন। এবিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন মেয়েটি ধর্ষনের এক পর্যায়ে ৪ তলা থেকে অশ্লীল অবস্থায় বাঁচাও বাঁচাও বলে নিচে নেমে আসে, এক পর্যায়ে ঘটনা টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাওহীদুল ইসলামের (মা) নুরজাহান বেগম মেয়েটিকে দশ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটিকে বাসা থেকে বের করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। তুরাগের নয়ানীচালা এলাকায় হাসান মঞ্জিল নামক একটি বাড়ির ৪র্থ তলার রান্নাঘরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পরনের কাপড় খুলে ফেলে তাকে ধর্ষন করেন তাওহীদুল ইসলাম। এবিষয়ে ভুক্তভোগী মীম আক্তার বললেন আমি আমার আম্মুর সাথে উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের জন্য গেলে মোঃ তাওহীদুল ইসলাম আমাকে ৫০টাকা দিয়ে বলেন আমার সাথে আসো আমার আম্মু ঈদের খাদ্য সামগ্রী ও ঈদের জামা কাপড় দিবে বলে আমায় নিয়ে আসে। বাড়িটির সামনে এসে বলে ৪ তলা পর্যন্ত জেতে হবে। আমার আম্মু অসুস্থ নিছে আসতে পারবেনা। এমন কথার পরে আমি উপরে গেলে। ৪ তলার একটি খালি রুমের মধ্যে আমাকে ঘাড়ে ধরে ঢুকিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে, মেয়েটির কাছে ঘটনার বিবরন শুনে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে তুরাগ থানার এস আই ওয়াজিউর তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষীতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে।তার আত্নচিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে। বাড়ির মালিকের ছেলে ধর্ষণকারী তাওহীদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানান পুলিশ ও এলাকাবাসী। এঘটনায় তুরাগ থানায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
Facebook Comments