প্রকাশিত সময় : মে, ২৬, ২০২০, ১২:১০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 318 জনসাভার প্রতিনিধি:গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাভার থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। পেশায় তিনি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। সাভারের তেঁতুলঝোড়ায় ৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। তারা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ৩ বছরের একটা মেয়েও আছে। সে যে কারখানায় কাজ করে সেখানে তার চাকরির বয়স ৯ মাস হওয়ায় সে বোনাসও পায়নি। তবে এপ্রিলের ৬০% ও মে মাসের ৪০% মজুরি অর্থাৎ তার মোট মজুরি ৮৫০০ টাকা পেয়েছিলেন। এই টাকার ৩৫০০ টাকা বাসা ভাড়া, ১হাজার টাকা সিলিন্ডার বিল, দোকান বাকী ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করে পকেট শুন্য হয়ে যায়। পরে তাদের মেয়ের জন্য মেয়ের মামা জামা-কাপড় পাঠায়। তারা স্বামী-স্ত্রী কিছুই নিতে পারেনি। সংগঠন তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। পোশাক শ্রমিকদের এই যখন জীবন-যাত্রা, তখন বোঝার অপেক্ষা থাকেনা যে, দেশের প্রধান শিল্প সৈনিকরা ভালো নেই পরিবার পরিজন নিয়ে। কেন পোশাক শ্রমিকদের হঠাৎ বাড়ি ফেরার হিড়িক পড়েছে তা দৃশ্যমান। একরকম হাজারো শ্রমিকের ঈদ কেটেছে হতাশা আর মানসিক চাপে। তার মতে ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি শব্দটা কেন জানি আমার কাছে বরাবর বাড়তি চাপ তৈরী করে। যদি আবার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বঞ্চিত করে তখন তো আরো মানুষিক যন্ত্রনাটা বাড়ে। অনেক শ্রমিকের সংসারে চলছে অন্তঃকোলহ। শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রার পরিবর্তনে দরকার ম্যানেজমেন্টে শ্রমিক শ্রেণির অংশীদারিত্ব।
Facebook Comments