প্রকাশিত সময় : জুন, ২, ২০২০, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 695 জন(আল আমিন বিন আমজাদ) মহামারি করোনার কারনে সারাদেশ লকডাউ হওয়ার পর থেকে শ্রমজীবী মানুষের জীবন জাপন যেন এক অসহায়ত্তে পরিনিত হয়েছে।আর শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে হোটেল শ্রমিকরা। কারন করোনায় দেশ লকডাউন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে কড়া নজরদারিতে রয়েছিল হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলো।অন্যান শ্রমিকরা টুকটাক কাজ কর্ম করতে পারলেও একেবারেই বেকার হয়ে পড়েছে হোটেল শ্রমিকরা। এখন সিমিত আকারে দোকান পাট খোলার ঘোষণা দিলেও দূর্দসা কাটেনি হোটেল শ্রমিকদের। কারন যেখানে ১০-১২ জন হোটেল শ্রমিক কাজ করতো সেখানে মালিকরা ৩-৪ জন নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।তাই হোটেল শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের নেয্য দাবি আদায়,সরকারি সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে ৫ দফা দাবি দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শ্রমিকদের দাবি সমূহ
১। হোটেল-রেস্তোরা সহ কোন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবেনা।
২। রাষ্ট্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হোটেল শিল্পে শ্রমিকদের সহযোগিতা প্রদান,পর্যাপ্ত ত্রাণ, পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৩। হোটেল ব্যবসার অর্থনৈতিক দিক ও শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে সকাল হতে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরা খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হউক।
৪। কর্মস্থলে শ্রমিকদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। শ্রমিকদের বকেয়া বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কিস্তির টাকা ইত্যাদি বিষয়ে সুরাহায় প্রশাশনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।১জুন সকালে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় এক শতাধিক শ্রমিক একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এই স্বারকলিপি প্রদান করেন।
পরে শ্রমিকরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দাবিতে পৌর মেয়র মোঃ মর্তুজা সরকার মানিক এর সাথে দেখা করেন।
শ্রমিকদের বিষয়ে কথা হয় ফুলবাড়ী নিমতলা মোড়ে অবস্থিত মুন্সি হোটেল এর সাত্বাধিকারি মোঃ সুমন মুন্সির সাথে তিনি জানান সিমিত আকারে হোটেল রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দিলেও তেমন লোকজন নেই বেচা বিক্রিও কম তাই অতিরিক্ত শ্রমিক নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিপূর্ণ ভাবে দোকান পাট খুললে সব শ্রমিকদের নেওয়া সম্ভব হবে।
Facebook Comments