প্রকাশিত সময় : জুলাই, ১৭, ২০২০, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 698 জনআল আমিন বিন আমজাদ: দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর আঞ্চলিক সড়কের শিবনগর ইউনিয়নের মধ্য সুলতানপুর(গুচ্ছ গ্রাম)গত ৪ জুলাই শামিম পরিবহন নামের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ৫ যাত্রী আহত হয়।আহতদের মধ্যে ২য় শ্রেনীতে পড়ুয়া মাহিমা নামের ৮ বছরের এক শিশুও ছিল। অর্থাভাবে মাহিমার বাবা তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারায় ৮দিনের মাথায় মাহিমার আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ইনফেকশন দেখা দেয়।পরে তাকে চিকিৎসার জন্য আবারও ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।মাহিমার বাবা আবু মোন্নাফ জানান, ৪জুলাই বাস দুর্ঘটনায় আমার ৮ বছরের ছোট এই মেয়েটি গুরুতর আহত হয়। আমি সেদিন আমার কর্মস্থল সৈয়দপুরে ছিলাম। খবর পেয়ে আমি সেখান থেকে দ্রুত ছুটে আসি।পরে তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার নানির বাড়িতে রেখে আসি। অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারায় গত ১২ জুলাই আমার মেয়ের আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ইনফেকশন দেখা দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে আবারো তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করাই।ইতি পূর্বে আমি বাস মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ফুলবাড়ী বাস শ্রমিকের নেতা,এস আর কাউন্টারের পরিচালক মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন আমাকে এক হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি ৩-৪ দিন যাবৎ আমার বিকাশ নাম্বারে দিব- দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছিলেন। কিন্তু আমি যখন আজ আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলি,তখন তিনি আমার নাম্বারে ৯’শত টাকা বিকাশ করেন।এর পর আর কোনো খোঁজ খবর নেননি। এদিকে আমার মেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই “নিরাপদ সড়ক চাই” ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক লিমন হায়দার সহ আরো কয়েকজন সবসময় খোঁজ খবর নিয়েছেন, এবং ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তির পর আমার মেয়েকে দেখতে এসেছেন। আমি এখন আমার এই ছোট্ট শিশুটির উন্নত চিকিৎসা কামনা করছি। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতির সাথে। তিনি বলেন,এই শিশুর পিতা একজন হতদরিদ্র মানুষ। এখন এই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া তার একার পক্ষে সম্ভব না। তাই সংশ্লিষ্ট বাস মালিকের উচিত হবে তার চিকিৎসার ব্যায়ভার বহ করা।
Facebook Comments