প্রকাশিত সময় : জুলাই, ১৮, ২০২০, ০৬:০৭ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 560 জনশেরপুর প্রতিনিধিঃ- শেরপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর-জামালপুরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার থেকে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়াদোকান, ডাইভারশনের বেইলী ব্রীজের দক্ষিন পাশে মাটি ধ্বসে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় পোড়াদোকান শিমুলতলীতে দুটি কজওয়েতে ব্রীজের নির্মান কাজ চলার কারনে যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মিত বিকল্প রাস্তা ডুবে গিয়ে ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় বিপদসীমা ছুই ছুই অবস্থানে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শেরপুর ফেরীঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি যেকোন মূহুর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পুরাতন ভাঙ্গা অংশ গুলো দিয়ে পানি প্রবেশ করে চরাঞ্চরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী, চরমোচারিয়া, কামারের চর, বেতমারি, ঘুঘুরাকান্দি, লছমনপুর, রৌহা ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার প্রায় ২৫টি প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে গাজিরখামার ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, তলিয়ে গেছে বীজতলা ও সবজিক্ষেত। চরপক্ষিমারী, কুলুরচর, বেপারীপাড়া ও নতুনচরের শতাধিক পরিবার, জামালপুর শহর রক্ষা বাধে ও স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন। শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার শাহা জানান, বন্যার পানিতে শেরপুর সদরের ১শত হেক্টর জমির আমন বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমা ছুই ছুই করছে। শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজ আল মামুন বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
Facebook Comments