প্রকাশিত সময় : জুলাই, ১, ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 203 জনবাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে লতিফ শেখ (৫০) নামের এক মাছ চাষিকে কুপিয়ে মাছ বিক্রির টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০১ জুন) দুপুরে ফকিরহাটের ফলতিতা মৎস্য আড়ত থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাছ ব্যবসায়ীকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মারধরের শিকার লতিফ শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাদোখালি গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের ছেলে।
ঘটনার সময় লতিফ শেখের চাচাতো ভাই ভাড়ায় চালিত ভ্যানের চালক মুকুল শেখ সঙ্গে ছিলেন।
তিনি জানান, ফলতিতা থেকে মাছ বিক্রি করে লতিফ শেখকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে সুরিগাতি পৌঁছালে চৌদ্দহাজারি গ্রামের মানিকসহ ৭-৮ জন আমাদের ভ্যান আটকে দেয়।
পরে বস্তায় থাকা রামদা, কুড়াল ও লাঠি দিয়ে লতিফ শেখকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। সঙ্গে আমাকেও লাঠি দিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে লতিফ শেখকে ফেলে ওরা চলে যায়। এসময় তার কাছে থাকা মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে যায় তারা। পরে তাকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
হাসপাতালে লতিফ শেখের সঙ্গে থাকা স্ত্রী কারিমা আক্তার বলেন, ২০২৩ সালের ২০ মার্চ চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌদ্দহাজারি গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে মানিক শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মানিক শেখ নেশা করে তার স্ত্রীকে মারধর করাসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে তার বোন বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরে দুই মাস আগে স্থানীয়দের নিয়ে সালিশ-মীমাংসার মাধ্যমে তাদের তালাক হয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে মানিক লতিফ শেখসহ স্ত্রীর আত্মীয়দের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরই জেরে আজকে আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর কাছে থাকা দুই লাখ টাকা লুট করে নেয় মানিক ও তার লোকজন। আমার স্বামীকে মারধরের বিচার চাই।
এ বিষয়ে মানিক শেখ বলেন, আমার সাবেক স্ত্রীর তালাক নিয়ে তাদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা ছিল। কিন্তু আমি এই মারধর করিনি বলে ফোনটি রেখে দেন।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, মারধরের বিষয়টি এখনও জানা নেই। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Facebook Comments