বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

বি. এম. আশিক হাসান, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

গত ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৪ গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ৫২ নং ওয়ার্ডের মুদাফা খলিল মার্কেট বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর জাতীয়তাবাদী যুবদল এর আহবায়ক সদস্য ও টঙ্গী পশ্চিম থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন ভাসানী, ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল হক, ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জমশের আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম আখতার উজ্জামান নূর, ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোঃ আবুল মাতবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, মোঃ আনিসুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান, মুদাফা গ্রাম ইউনিট-বিএনপি’র সভাপতি মোঃ আব্দুল আওয়াল, ৫২ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ সূর্যত আলী, মোঃ রানা, মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ মফিজ উদ্দিন, মোঃ মজিবর, মোঃ রুবেল শেখ, ৫২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সোয়াত নূর, তরু, প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বীরত্বে গাঁথা সাফল্যময় ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করে বলেন আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৭ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর তৎকালীন সময় স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক মেজর জিয়াউর রহমান দেশের ক্রান্তি কালে যুগ উপযোগী সিদ্ধান্তে গৃহীত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা করেন। বক্তারা বিগত ফ্যাসিবাদ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বলেন প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে জনগণের অধিকার বিনাশ করেছে এই জালিম শাসক নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেসার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, দেশের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে শিক্ষার্থী ও জনতার উপর পাখির মত গুলি করে হত্যাকাণ্ড চালায়। গত পাঁচ আগস্ট শিক্ষার্থী আন্দোলনের তোপে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় এবং দেশের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনতা বৃহত্তর গণঅভ্যর্থন ঘটাতে সক্ষম হয়। বক্তারা আরও বলেন অনতিবিলম্বে ইন্টারপোলের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসককে দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরিশেষে দোয়া ও মোনাজাত মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে নৈশ ভোজ করানো হয়।