প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ৫, ২০২০, ০৩:০৮ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 1780 জনবিশেষ প্রতিনিধি( রতন হোসেন মোতালেব ) করোনা সংক্রমণ রোধে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পোশাক কারখানাগুলো আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য কারখানা মালিকদের কাছে অনুরোধ করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।
কিন্তু বিজিএমইএ’র অনুরোধ না মেনে সাভার ও আশুলিয়ায় অনেক পোশাক কারখানা চালু রয়েছে। যেগুলো জরুরী শিপমেন্ট অথবা পিপিই তৈরির কাজ চলছে।
রোববার (০৫ এপ্রিল) সকালে সরজমিনে সাভারের কলমায় অবস্থিত উইন্টার ড্রেস লিমিটেড কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ কর্মদিবসের মত কারখানা চালু রয়েছে। সামাজিক দুরত্ব না মেনে গায়ে গা লাগিয়ে দলে দলে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করছেন।
এদিকে জানা গেছে, আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর স্কাইলাইনের নিটিং, ইপিজেড এলাকার গোল্ড টেক্স, একটর এ্যপারেলস, গোলবাল, শান্তা, সাভার কলমা এলাকায় হট ড্রেস গ্রুপ, সাভারে আল মুসলিম, আলনিমা, ডেনি টেক্স, ঢাকা টেক্সটাইল, সাভার টেক্সটাইল, বিরুলিয়া বউবাজার এলাকার এবিসি বাংলা অ্যাপারেলস লিমিটেড, বিরুলিয়ার মাইন্ড ওয়ান নীট কম্পোজিট লিমিটেড, হেমায়েতপুরের এবি এ্যপারেলস, জামগড়ার এস এন এস এ্যাপরেলস, জামগড়ার নিটওয়্যার লিমিটেড, ছাফা সুয়েটার, এস কে আর এম ও আশুলিয়ার বারইপাড়ার তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেডসহ প্রায় অর্ধশত পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে৷
কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে উইন্টার ড্রেস লিমিটেড এর প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বাসায় যেভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করি নিজেরা ওই ভাবেই শ্রমিকদের কারখানায় ভালো রাখার চেষ্টা করছি৷ কাজের বেশির ভাগ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। দু-একটি ক্রয়াদেশ রয়েছে যেগুলো জরুরীভাবে৷ সিপমেন্ট দিতে হবে। তাই আজ আমরা কারখানা খোলা রেখেছি। পরবর্তীতে বন্ধের নির্দেশ এলে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের সব কিছুই লকডাউন করে রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পোশাক কারখানার মালিকরা যে কারখানা খুলছে এটি সঠিক করেনি। বিভিন্ন এলাকার ভেতরে ভেতরে কিছু পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। কোনো করণে শ্রমিকদের ভেতরে করোনা একবার সংক্রমতি হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সবার জন্য কঠিন হবে। এখনো সময় আছে কারখানাগুলো বন্ধ দিয়ে শ্রমিকদের জীবন রক্ষার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি৷
Facebook Comments