প্রকাশিত সময় : মে, ২৪, ২০২০, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 626 জনময়মনসিংহের ভালুকায় বাক প্রতিবন্ধি মিল শ্রমিক সুমি হত্যা মামলার ৫ আসামীকে ২২ মে শুক্রবার গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে প্রেরণ করেছেন ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কংশের কুল গ্রামের বাক প্রতিবন্ধি নূর হোসেনের মেয়ে লিপি আক্তার ওরফে সুমি (১৮) জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী আবুল সরকারের বাড়িতে বাড়া থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলা শ্রীপুর জৈনাবাজারস্থ এ.এ.ইয়ার্ণ মিল লিঃ চাকুরী করা অবস্থায় ১৫ মার্চ রাত ১০ টায় মিল হতে বাহির হয়ে বাসায় ফিরে নাই। ১৯ মার্চ বিকালে উপজেলার আমতলী এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে পলী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্ব পার্শে বিলাইজোড়া খালের বীজের নিচ থেকে সুমির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ২০ মার্চ সুমির বাবা নূর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এস আই ইকবাল হোসেন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হবিরবাড়ী হামিদের মোড় এলাকার আতর আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (১৯), জামিরদিয়া রফিকের বাড়ির বাড়াটিয়া ময়মনসিংহ জেলার ধুবাউড়া উপজেলার উদয়পুর হরিণধরা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে হৃদয় মিয়া (১৮) কে ২১ মে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধীদেন এবং হত্যার সাথে জড়িতদের নাম ঠিকানা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২২ মে শুক্রবার রাতে জামিরদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধুবাউড়া উপজেলার উদয়পুর হরিণধরা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মামুন (১৯), আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে জয়নাল (১৯), ভালুকা উপজেলার খন্দকার পাড়ার মুঞ্জুরুল হকের ছেলে রাব্বি (২২) কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। হৃদয়, মামুন, জয়নাল, সুমির সাথে একই এলাকায় বাড়া থেকে একই মিলে চাকুরী করত। রাব্বি লেগুনা চালক ও রাকিব অন্য একটি মিলের শ্রমিক। রাকিব সুমির সাথে প্রেমের সম্পর্ক করার চেস্টা করে। সুমি রাজি না হওয়ায় ১৪ মার্চ রাতে সকল আসামীরা সুমিকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। সকল আসামীরা সুমিকে লেগুনায় তুলে উপজেলার কড়ইতলি মোড়ের উত্তর পার্শে আবুল কাশেম ও কামরুল হাসানের বাগানের ভিতর নিয়ে হাত পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে সুমিকে ধর্ষণ করে। এতে অতিরিক্ত রক্তরণ হয়ে সুমি মরা যায়। পরবর্তীতে সকল আসামীরা সুমির লাশ লেগুনায় তুলে আমতলী এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে পলী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্ব পার্শে বিলাইজোড়া খালের বীজের নিচে ফেলে চলে যায়। সুমির মা বাবা এক ভাই এক বোন সুমি সহ সকলেই বাকপ্রতিবন্ধি।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যমতে আরও ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনের মাঝে ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক অপর এক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইকবাল হোসেন কে সঠিক ভাবে মামলার তদন্তর কাজ ও সফল ভাবে অভিযান পরিচালনা করায় ১০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করেছি।
সূত্র.প্রবাহ বার্তা
Facebook Comments