সাভার থেকে (পলাশ হোসাইন) যৌতুক নামের সামাজিক ব্যাধির দুটি রুপ। দরকষাকষি ও বিয়ের পরে আশেপাশের লোকজনের সমালোচনা। দুটো ক্ষেত্রেই লাভ ক্ষতি বর/কনের কিন্তু পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী অনেক ক্ষেত্রেই তারা নয়। অথচ আদান প্রদান যা-ই হোক তার ভাগ কিন্তু আশেপাশের লোকজন বা আত্মীয় স্বজনরা পায় না। এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটা অনৈতিক কাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে থাকে। যুক্তির পাশে যুক্তি দিয়ে একটা অনৈতিক কাজে উৎসাহ দানকারী আত্মীয় স্বজনরা অনেকাংশে দায়ী। যৌতুকে কয়জন মানুষ সুখী হয়েছে জানিনা, তবে এতে অশান্তি সৃষ্টির অনেক ইতিহাস জানি। যৌতুক ছাড়া বিয়ের পরেও অশান্তি সৃষ্টির কারণ আশেপাশের লোকজন। এরা কনের কানের কাছে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে অশান্তি সৃষ্টি করে। ধর্ম বা আইনে এটা নিষিদ্ধ। তথাপি এই অভিশাপের জালে বন্দী অধিকাংশ লোকজন। ধর্মের ছবক দানকারী অনেকেই এই পাপ কাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে থাকে। কবে এই অভিশাপ থেকে সমাজ মুক্ত হবে, প্রশ্ন থেকে যায়। আশেপাশে যৌতুকের আওয়াজ উঠলে থামিয়ে দিতে হবে। থামাতে না পারলে যৌতুকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া বাদ দিতে হবে। সমাজ পচে গেছে। কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে বরং উল্টো তাকেই অপদস্ত হতে হয়। সবাই আনন্দের সাথে এইসব অনুষ্ঠানে যোগদান করে বলেই কেউ লজ্জা পায় না।
Facebook Comments