প্রকাশিত সময় : মে, ১৮, ২০২০, ০৭:০৬ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 790 জনশিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে কোনভাবেই যাত্রীদের চাপ ঠেকাতে না পেরে অবশেষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) বিকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে সোমবার বেলা ১১টারর দিকে মানিকগঞ্জ-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকেই গাদাগাদি করেই পারাপার হয়েছে যাত্রীরা। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের অস্বাভাবিক ভিড় ছিল।
তবে কাঠাঁলবাড়ি ফেরি ঘাটের মাদারীপুরে অংশে ফেরি পারাপারের যাত্রী তুলনামূলক কম ছিল। রাজধানী থেকে ফেরা যাত্রীদের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি রয়েছে।
দিনভর ঘাটে ফেরি ভেড়ার সাথে সাথে শত শত যাত্রীকে গাদাগাদি করে নামতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হয়েছেন।
প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অধিক হারে। উভয় পাড়ে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহন পাচ্ছেন না। এতে বিকল্প হিসেবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছেন যাত্রীরা। দূর পাল্লায় মোটরসাইকেলে যাতায়াত অনিরাপদ। অনেকে ইজিবাইক বা ভ্যানে করে দূরের রাস্তা পাড়ি দিচ্ছেন।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ফেরি ঘাটে জমায়েত হচ্ছেন। ফেরিতে যাত্রী পারাপার না করতে ফেরি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেন যাত্রীরা জড় না হতে পারে, সে ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নৌপরবিহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার বিকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
সূত্র.রাইজিংবিডি ডট কম
Facebook Comments