প্রকাশিত সময় : জুন, ১২, ২০২০, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 656 জনঅনলাইন ডেস্ক: শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে নয় বছরের এক শিশুর স্পর্শকাতর স্থানে সুতা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দম্পত্তিকে আটক করা হয়। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের কাজলকোর্ট গ্রামের বাসিন্দা রিপন মুন্সী (৪৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি শিক্ষার্থী। গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিভি দেখার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নেন রিপন ও শেফালী দম্পত্তি। পরে তাদের ঘরে নিয়ে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে সুতা বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
এ সময় শিশুটিকে মেরে ফেলার ভয় দেখান তারা। ফলে কাউকে বিষয়টি জানায়নি শিশুটি। ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির স্পর্শকাতর ক্ষত স্থান ফুলে ব্যথা শুরু হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় বুধবার (১০ জুন) রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একাট মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে রিপন ও শেফালী দম্পত্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিশুটির বাবা জানান, রিপন মুন্সী আমার চাচাতো ভাই। তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বিবাদ আছে। এ কারণে আমার সন্তানের সঙ্গে এমন করেছে তারা। জীবনে ভাবতেও পারিনি তারা এমন কাজ করবে। আমি তাদের বিচার চাই।
ভেদরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র.সময়ের কণ্ঠস্বর
Facebook Comments