প্রকাশিত সময় : জুলাই, ২২, ২০২০, ০৬:৩৮ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 691 জনশেরপুর প্রতিনিধিঃ- শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সেই বহুল আলোচিত মহিলা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে এবার মামলা দায়ের করেছেন বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ ও নির্যাতনের শিকার অসহায় বিধবা নারীর পরিবার। ২১ জুলাই মঙ্গলবার শেরপুরের সিআর আমলী আদালতে ওই বিধবার ছেলে সোহেল মিয়া বাদী হয়ে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (৪০) ও আত্বীয় মোখলেছুর রহমান (৩৮) কে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা তা আমলে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক আগামী ১৬ আগষ্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই’র জামালপুর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলার তামাগাও এলাকার মৃত হায়দার আলীর স্ত্রী ছবিরন বেগম (৫০) মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ওই জমিতে দু’টি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু ওই জমির প্রতি হঠাৎ লোভ জাগে কলেজ অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের। তিনি জমিটি ক্রয় করার জন্য প্রস্তাব দিলে ছবিরন নেছা তা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তার কনিষ্ঠ পুত্র শরাফত আলীকে কলেজের অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে নগদ ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেও তাকে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ছবিরন বেগমের অসহায় পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তিনি। ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান ও তার লোকজন ছবিরনকে গাছে বেঁধে তার উপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। তার পুত্রসহ অন্যান্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অধ্যক্ষ খলিল ও তার লোকজন ছবিরনের দু’টি ঘরে গুড়িয়ে দেয়। লুটপাট করে নিয়ে যায় বাড়ির সমস্ত মালামাল। অধ্যক্ষ খলিল ও তার লোকজন কয়েকদিনের মধ্যেই ছবিরনের বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে খোদ জমিটুকুও আতœসাৎ করে। এ ব্যাপারে খলিলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
Facebook Comments