শেরপুর প্রতিনিধিঃ- শেরপুরের শ্রীবরদী নিজ মামদামারী ম্যধপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিলুপ্ত জান মামুদ রশীদিয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসাকে ভূয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই বিদ্যলয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও প্রধান শিক্ষিকা চামেলী বেগম উপজেলা শিক্ষা কমিটির বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে ও সরে জমিন ঘুরে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত ওই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ নিজ মামদামারী মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতি করার লক্ষ্যে কার্যকলাপ করিয়া আসিতেছে। বিগত ১৯৯৮ সালে নিজ মামদামারী মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাকা ভবন করার বরাদ্দ হলে ওই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে হুমকি প্রদর্শন করে। পরে বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও প্রধান শিক্ষিকা চামেলী বেগম তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কায়সার আহম্মেদকে অবগত করলে নির্বাহী অফিসার তাদের মনোভাব দেখিয়া মাদ্রাসার ২৫৭৫ দাগের পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ ৪২ বছর পরেও তারা ষড়যন্ত্র মূলক কার্যকলাপ থেকে বিরত হয় নাই। বর্তমানে তারা জান মামুদ ফুরকানিয়া মাদ্রাসাটি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে জমি দিয়া ভূয়া স্বত্বন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। উল্লেখ্য, গ্রামটির ১ কিঃমিঃ মধ্যে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কেজি স্কুল, ১টি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ২টি মক্তব রয়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা তেমন না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে কোন রকমে। কাগজে কলমে এবতেদায়ী মাদ্রাসার নাম না থাকলেও গোপনে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নিজ মামদামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে মাদ্রাসায় ভর্তির জোর চেষ্টা করিতেছে। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একসাথে হলেও সমস্যা হবে না। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় ভর্তি সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাটি বন্ধ ও ছাত্র ছাত্রী না থাকলেও ছাত্র ছাত্রী ভর্তির চেষ্টা চলছে।
Facebook Comments