প্রকাশিত সময় : জুলাই, ২৭, ২০২০, ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 618 জনসজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ইসমাঈল হোসাইন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র সুযোগ্য পুত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারক বাহক ও স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন আজ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৭ জুলাই ঢাকায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ (সুধা মিয়া) ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে স্বাধীন বাংলার বিজয়ের প্রতীক হয়ে জন্মগ্রহণ করেন আজকের কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়। জয়ের নাম ‘জয়’ রাখেন তার নানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সান্নিধ্য পেয়েছিলেন আদরের বড় মেয়ে হাসুর একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। জয় ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ও কর্মঠ ছিলেন। ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন জয়। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। প্রতিটি ক্লাসে মেধাতালিকায় সম্মানজনক স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। পড়ালেখা শেষ করে ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তার নাম সুফিয়া। সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্যা ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্লোগানটি যুক্ত হয় তার নেপথ্যে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। পরবর্তী সময়ে পর্দার অন্তরালে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেয়া হয়। জয় সততা নিষ্ঠার ও অত্যন্ত দক্ষতার সহিত “মা” শেখ হাসিনাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যার সুফল আজকের তরুণ প্রজন্মরা ভোগ করতেছে। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে সজীব ওয়াজেদ জয় তাদের আইডল। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ভিশন ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে জয়ের ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে তরুণ প্রজন্মের কাছে। এছাড়া জয় তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্ল্যাটফরম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন এবং আইটি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখেন। যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের পদ্ধতিতে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত না থাকলেও ২০১০ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় এর জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তায় সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন গণতন্ত্রের মানস কন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে সমানতালে। নানা ও বাবা এবং মায়ের যোগ্য উত্তরসূরী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়। শুভ কামনা অবিরাম, শুভ হোক আপনার আগামী দিনের পথচলা। আপনার সুমেধার আলোয় আলোকিত হোক ডিজিটাল বাংলাদেশ। আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Facebook Comments