প্রকাশিত সময় : মার্চ, ২৯, ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 573 জনখিলগাঁওয়ে বহুল আলোচিত পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। প্রধান সন্দেহভাজন আসামি জিন্নাতের জবানবন্দিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব জানায়, অবৈধ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসিফকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মো. শামীম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি আলমগীর ও রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২১ সালে মেরাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা খিলগাঁও ও বাড্ডা এলাকায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় যারা বাধা সৃষ্টি করতো, তাদের তারা অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাতো। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স নিহত আসিফ তার কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এতে আলমগীর, রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী আলমগীর ও রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়। তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়াস্থ সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আসামাত্র আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে ঝাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে।
আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আসিফকে তার আত্মীয়রা ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের ভাই বাদী ২ জনের নাম উল্লেখ করে ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর র্যাব প্রধান সন্দেহভাজন আসামি জিন্নাতকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় সে আলমগীর ও রাজিব এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।সূত্র.risingbd.
Facebook Comments