প্রকাশিত সময় : আগস্ট, ৩০, ২০২০, ১০:০০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 696 জনগাজীপুর প্রতিনিধি: শ্রমিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ আগস্ট বুধবার রাতে। গাজীপুর কাশিমপুরের দক্ষিন জরুনের সোহেল মিয়ার বাড়িতে হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে। এখন পর্যন্ত আসামীদের ধরা যায়নি।
মুকুল জামালপুর জেলা সদরের তারাভিটা গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে। এবং কাশিমপুরের ইসলাম গ্রুপ তৈরি পোশাক কারখানায় আয়রনম্যান পদে চাকরি করতেন। পিতা নুর মিয়ার অভিযোগ, বুধবার কারখানার থেকে আসার পর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মুকুলকে হত্যা করে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ‘তোর ছেলে মুকুল মোবাইল চুরি করেছে, মোবাইল না দিলে জানে মেরে ফেলে হব‘ নুরু মিয়াকে ফোনে এমন হুমকি দেয় হত্যার অভযুক্ত মনির হোসেন। পরের দিন সকালে এসে ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পায় নুর মিয়া। বাড়ির মালিক সোহেল মিয়ার স্ত্রীর কাচে থেকে চাবি ঘর খুলে দেখতে পায় মুকুলের লাশ ঝুলানো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।এরপর ২৭ আগস্ট বেলা ১ে১ টায় থানার পুলিশ খবর পেয়ে মুকুলের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
নিহত পরিবারের দাবি বাড়ির মালিক সোহেল মিয়া, মনির হোসেন এবং মুকুলের দুই রুমমেট মিলে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। ছেলে হত্যার ঘটনায় বাবা নুর ইসলাম বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় হাজির হয়ে মনির হোসেন, সোহেল মিয়া এবং দুই রুমমেটকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার নম্বর ২৯ ।হত্যাকান্ড ঘটানোর পর বাড়িওয়ালা ও দুই রুমমেট পলাতক রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মুন্সী ফোনে শ্রমিক আওয়াজকে বলেন, হত্যা মামলা হিসাবে এ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা ও লাশ দেখেও তাই মনে হয়। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে পুরোপুরি জানা যাবে। আসামী ধরার ব্যাপারেও কার্যক্রম চলছে। আশা করছি শীঘ্রই আসামীরা ধরা পড়বে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন মুকুল। মুকুলের হত্যার মাধ্যমে পুরো পরিবারটি পথে বসলো। নিহত পরিবারের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করো হোক।
Facebook Comments