প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ২৭, ২০২০, ০৩:৫২ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 644 জনআল আমিন বিন আমজাদ:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সুজাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত” দশমী রায়”এর চিকিৎসার জন্য আবারো আর্থিক সহায়তা পাঠালেন দিনাজপুর অঞ্চলের ব্রিজ মাস্টার ও লৌহ মানব খ্যাত বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ আলী(বাদশা চৌধুরী)। ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে দিনাজপুর থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো ৭ হাজার টাকা দশমীর দুলাভাই এর হাতে তুলে দেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ভাতিজা বাপ্পি চৌধুরী।ইতি পূর্বেও মোহাম্মদ আলী চৌধুরী দশমীর চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তার অভিভাবকের নিকট পাঠান।তিনি শুধু টাকা পাঠিয়ে ক্ষান্ত হননি। প্রতিনিয়ত তার খবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন অসুস্থ ঐ শিক্ষার্থীর বাবা। এবিষয়ে দশমীর বাবা জানিয়েছেন,আমার মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়েছে ইতিপূর্বে ২০১৫ সালেও একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল দশমী তখন অনেকেই সাহায্য করেছিল, কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস এর কারণে আমি কারো কাছে যাওয়ার সাহস পাইনি, হঠাৎ আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন মোহাম্মদ আলী(বাদশা)চৌধুরী আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।অনুসন্ধান করে জানা গেছে,লৌহমানব বাদশা চৌধুরীর এজাতীয় কাজ নতুন নয়। তিনি ছোটবেলা থেকেই এসব সেবা মূলক কাজ করে আসছেন। তিনি বিনামূল্যে একাধিক চক্ষু শিবিরের আয়োজন সহ কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে সহায়তা,বিভিন্ন বয়সের অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো,দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান সহ বিভিন্নসমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।কথা হয় এই গুণী মানুষটির সাথে। তিনি বলেন,অসহায় মানুষের পাশে যদি সচ্ছল বিত্তবানরা না দাঁড়াই, তাহলে এ সম্পদ থেকে লাভ কি? মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাও তো আনন্দের, তৃপ্তির। মানুষ তো মানুষের জন্যই।সামাজিক মাধ্যমে অসুস্থ শিক্ষার্থীর একটি পোস্ট দেখে চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন লৌহ মানব বাদশা চৌধুরী। উল্লেখ্য যে মোহাম্মদ আলী(বাদশা)চৌধুরী ফুলবাড়ী ছোট যমুনা ব্রীজ,আমডুঙ্গি হাট ব্রীজ,বারাইপাড়া ব্রীজসহ অসংখ্য ব্রীজ এর কাজ সম্পন্ন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় দিনাজপুর বাসি তাকে ব্রীজ মাস্টার হিসেবে উপাধি দেন।১৯৪০ সালে তৎকালীন জমীদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি তার বাবা সাবেক এমএলএ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদর্শ লালন পালন করে তিনি সমাজ সেবায় বাবার দেখানো পথে ৮০ বছর বয়সেও বসে নেই।
Facebook Comments