প্রকাশিত সময় : সেপ্টেম্বর, ১২, ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 262 জনবিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন আলোকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউফুলা চৌরাস্তা বাজারে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে প্রায় ২০/২৫টি দোকান ভাংচুর লুটপাট এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগ করেছে দোকান মালিকগন।
এদিকে দুর্বৃত্তদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী দোকানীরা।
জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট সন্ধায় একদল সন্ত্রাসী বাহিনী উক্ত বাজারে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে দোকানের মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মেসার্স মুন্নী ট্রেডার্সের মালিক ময়েন উদ্দিন জানান, তার দোকানের সমস্ত সার ও কীটনাশক ঔষধ ৩টি মাহিন্দ্র করে নিয়ে যায় এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই দোকানের আসবাবপত্র সহ চালের টিন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার ১৫/১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
তাদের এ হামলা থেকে রেহাই পায়নি দরিদ্র শুটকী ব্যবসায়ী সোমেস ফকির। তিনি জানান, আড়ৎ থেকে বাকিতে কাঁচা বাজার সহ বিভিন্ন মালামাল কিনে বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করি। আমি একজন দরিদ্র মানুষ বাজারে শুটকি এবং কাঁচা তরকারি বিক্রি করে আমার সংসার চালাই। ঘটনার দিন বিভিন্ন দোকান ভাংচুরের সময় আমি ভয়ে দোকানের ঝাপ নামিয়ে দিয়ে সরে পড়ি। সন্ত্রাসীরা আমার দোকানের সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়, এখন আমি আড়ৎদারের টাকা কি ভাবে পরিশোধ করবো এ কথা বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো ৯০ বছরের এ বৃদ্ধ। এখন আমি অন্যের বাড়ীতে চেয়ে খেয়ে আমার দিন পার করছি।
ব্যবসায়ী আব্দুল বাছেদ জানান, তার শেষ ভরসাই ছিলো এই দোকান। এ দোকান দিয়েই চলে তার সংসার এবং ছেলে মেয়ের ভরণপোষণ। আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। আমি এখন বৌ বাচ্চাদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।
চায়ের দোকানদার আনোয়ার হোসেন জানান, তার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ওই দিন দুর্বৃত্তরা বাজারে প্রায় ২০-২৫-টি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলে জানান এলাকাবাসী। দুর্বৃত্তদের ভয়ে এখনো তারা দোকান খুলে দোকানদারি করতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি তাদের হুমকিতে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী দোকান মালিকগন এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
Facebook Comments