প্রকাশিত সময় : নভেম্বর, ৩, ২০২০, ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 717 জনসিরাজগঞ্জেঃ-সেখানে ফাঁদ পেতে খুব সহজেই বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ শিকার করা হয়। তাই কদর বেড়েছে এসব মাছ ধরা চাঁইয়ের।
জেলার উল্লাপাড়া, সলঙ্গা ও রায়গঞ্জ হাটসহ আশপাশের হাট-বাজারে চাঁই, চাড়ো, পলো বিক্রি বেড়েছে। যা দিয়ে প্রতিদিন টেংরা, পুঁটি, খলসে, টাকি, মোয়াসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ শিকার করছেন জেলেরা।
সলঙ্গা হাটে চাঁই তৈরির কারিগর আলম শেখ বলেন, ‘বন্যার পানি এলেই এনজিও বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বাঁশ কিনে চাঁই তৈরি করে। এক একটি বাঁশ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দামে কিনতে হয়। প্রতিটা বাঁশ থেকে তিনটি চাঁই তৈরি করা যায়।’
সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চাঁইয়ের হাট বসে। ভ্যানবোঝাই করে চাঁই বিক্রির জন্য বিক্রেতারা নিয়ে আসে এখানে। দূর দূরান্ত থেকে মৎস শিকারীরা এখানে চাঁই কিনতে আসেন। এক একটা চাঁই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। বড় আকারের চাঁই বিক্রি হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়।
চাঁই বিক্রেতা নাটোর উপজেলার বড়াইগ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন কারিগর সারা দিনে ছোট আকারের দুইটি দোয়ারি চাঁই বানাতে পারেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। দামও একটু বেশি পাচ্ছি।’
চাঁই কিনতে আসা রায়গঞ্জ উপজেলার দুলাল শেখ জানান, চাঁই দিয়ে চিংড়ি, বোয়াল, বাইনসহ নানান ধরনের দেশী মাছ ধরা হয়। পরিশ্রমও কম। চাঁই পেতে কয়েক ঘণ্টা পর দেখতে হয় মাছ পড়েছে কি না। তাছাড়া, বাজারে চাঁইয়ে ধরা মাছের চাহিদাও বেশি। কারণ চাঁইয়ে পড়া মাছ তাজা থাকে। খাল-বিল, জলাশয়, ক্ষেত বা ডোবার মাছের স্বাদই আলাদা। জমির আইলে, খালের মধ্যে বা যেকোনো জায়গায় চাঁই পেতে মাছ ধরার সময় এখন। তাই তো চাহিদা বেড়েছে চাঁইয়ের।
Facebook Comments