রাজধানী তুরাগের রাজাবাড়ী এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার ” ল” হাউজের একটি ফ্ল্যাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুল হাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কাকলী আক্তার (২৪) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে । পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে । পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও নিহত পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবুল হাশেম প্রথম স্ত্রী তিন সন্তানের জননী তাসলিমা বেগমকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছিলো । কিন্তু দুই মাস পূর্বে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কাকলীকে বিয়ে করে একই ফ্ল্যাটে একসাথে বসবাস শুরু করেন । গতকাল বুধবার রাত ৯ টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাকুলী তার পরনের ওড়না গলায় পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে । খবর পেয়ে তুরাগ থানার এস,আই গোবিন্দ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী আবুল হাশেমকে আটক করে । আসামীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার বড় ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার আরিফ পুলিশকে প্রথমে বাধার সৃষ্টি করে । এই সময় আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তার সহযোগী নিলয় প্রায় ( ২০-৩০ ) জন কিশোর গ্যাং বাহিনী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় । পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । নিহতের মা বলেন, “আমার মেয়ে কাকলী আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করে বলা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।আমার মেয়ের সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। আবুল হাসেম ও তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে । আমি এর সঠিক বিচার চাই। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস (কাকলী ) তুরাগ থানাধীন পশ্চিম কালিয়ারটেক এলাকার মনু মিয়ার মেয়ে । এই ঘটনায় নিহতের ভাই তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
Facebook Comments