প্রকাশিত সময় : এপ্রিল, ২৬, ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 433 জনমোঃআব্দুল হামিদ মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ লক্ষ টাকা জরিমান. অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মোঃ তহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। দণ্ডিত জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নবাবগঞ্জ প্রফেসর পাড়ার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল হক পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জতনের মেয়ে রেবা খাতুন ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় জাহিদুল হক মেম্বার এর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্র ধরে রেবা খাতুন কে জর্ডানে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন।
২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর ৫০ হাজার টাকা সহ রেবাকে ঢাকায় নিয়ে যান। এ ঘটনা চার দিন পর জাহিদুল হককে ফোন দেয়া হলে রেবা খাতুন কে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে তালবাহানা শুরু করেন। পরে জাহিদুল হক টাকা এবং রেবাকে ফেরত দিতে অস্বীকার করলে রেবার ভাবি গাজু খাতুন ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬,৭,ও ৮ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্যসিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর(৬) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামী জাহিদুল হক সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ লক্ষ টাকা জরিমান, অনাদায় আরো দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ইস্যুকৃত গ্রেফতারি পরোয়ান রি-কল পূর্বক নতুন ভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিডিটর এ কে এম আসাদুজ্জামান কৌশলী ছিলেন।
Facebook Comments