প্রকাশিত সময় : মার্চ, ১৪, ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ণ
পাঠক দেখেছেন 273 জনকামারখন্দ প্রতিনিধিঃ আমার বুকের মানিককে আমার কলিজায় কাছে আইনা দ্যাও সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে জিম্মি ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক । তার একজন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামের কৃষক আবু সামা শেখ ও নার্গিছ বেগম দম্পতির ছেলে নাজমুল হক হানিফ। এ জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছেন। শিগগিরই অর্থ না দিলে সব নাবিককে একে একে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন জলদস্যুরা। দুশ্চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত্র হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তার বাবা আবু সামা। নাজমুলের স্বজনদের দিন কাটছে অজানা আতঙ্কে। গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং লিমিটেডের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। নাজমুলের মা নার্গিছ বেগম জানান, আমার বুকের মানিককে আমার কলিজায় কাছে আইনা দ্যাও। নাজমুলকে ছাড়া আমি বাইচ্যা থাকতে পারমু না। মঙ্গলবার বিকেলে নাজমুলের অফিস থেকে ফোন করে বলা হয়, জলদস্যুরা নাজমুলদের জাহাজ আটক করেছে। কোন দুশ্চিন্তা কইরেন না। আমরা সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তার কিছুক্ষণ পর নাজমুল ফোন করে বলে, ‘জলদস্যুরা জাহাজে,আমার জন্য দোয়া কইরো মা’। জলদস্যুরা জাহাজসহ আমাদের আটক করেছে। মোবাইল ফোন নিয়ে নিচ্ছে। আমার জন্য তোমরা দোয়া কইরো, আর কথা নাও হতে পারে, এটাই হতে পারে শেষ কথা। এই কথা বলেই ফোন কেটে দেয়। আর কথা হয়নি। পরে শুধু পানি খেয়ে ইফতার করেছি ওই জাহাজে জিম্মি ২৩ নাবিকরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিনি ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিসিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক হানিফ, আইনুল হক, মোহাম্ম শাসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।
Facebook Comments